রাজ্যে ঠিকঠাক সরকার থাকলে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বার করে জেলে পুড়ে দিত – রাহুল সিনহা

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান:  কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতায় বুধবার গলসীর পারাজ এলাকায় রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী তথা রাজ্য জমিয়তে উলেমায়ে এ হিন্দের সভাপতি সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে ২নং জাতীয় সড়ক অবরোধ কর্মসূচীতে কোভিড ভ্যাকসিনের গাড়ি আটকে যাওয়ায় তীব্র সমালোচনা করে গেলেন বিজেপির রাজ্য নেতা রাহুল সিনহা। বৃহস্পতিবার বর্ধমানের আমড়া গ্রামে কৃষক সুরক্ষা অভিযানে অংশ নিতে রাহুল সিনহা এদিন সকালে আসেন। সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীকে একহাত নিয়ে রাহুল সিনহা বলেন, রাজ্যে ঠিকঠাক সরকার থাকলে উনি গ্রেপ্তার হতেন। এই ঘটনায় তাঁকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে মন্ত্রীসভা থেকে বার করে দেওয়া উচিত ছিল। একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রীর এহেন উক্তির জেরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে জেলা পাঠানো উচিত ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এটাই যে, বাংলায় কোনো ঠিকঠাক সরকার চলছে না, একটা এলেমেলো সরকার চলছে। 

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার আমড়া গ্রামে জাতীয় সড়কের কাছ থেকে রাহুল সিনহার পদযাত্রা শুরু হয়। গ্রামের ভিতরে এসে কয়েকটি কৃষক পরিবারে যান তিনি। তাদের কাছ থেকে একমুঠো চাল এবং আলু গ্রহণ করেন। এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাহুল সিনহা মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহের উদ্দেশ্যে বলেন, উনি কৃষকের জন্য কী করেছেন। তৃণমূলের বাজার খারাপ। তাই ওকে ময়দানে নামিয়েছে। ভ্যাকসিন একটা জরুরি বিষয়। সবার প্রয়োজন। তার গাড়ি আটকে উনি ক্ষমা চাননি কেনো? রাজ্যে সরকার ঠিকভাবে চললে উনি গ্রেপ্তার হতেন। 
রাহুল বলেন কেন্দ্রের কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ একটা সাময়িক ব্যাপার। দিল্লিতে যারা আন্দোলন করছেন তারা কৃষক নয়, কৃষকের নামে দালালরা আন্দোলন করেছে। এদিকে, এদিন আমড়া গ্রামের বাসিন্দা শিবপ্রসাদ মাজি, শ্যামলী মাঝি, কৃষ্ণা পাকরে, পদ্মা বাগ, শ্যামলী দাস ও প্রিয়াঙ্কা নায়ক প্রমুখরা জানান, রাহুলজি তাদের সমস্যা শুনেছেন। কেন্দ্রের কৃষি আইনে চাষিরা লাভবান হবেন বলে জানিয়েছেন। এদিন দুপুরে গ্রামেরই পরেশচন্দ্র দাসের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন সারেন রাহুল সিনহা সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারা। কলাপাতায় পঞ্চব্যঞ্জন সাজিয়ে তাদের খেতে দেওয়া হয়। 

রাহুল সিনহা জানিয়েছেন, চলতি জানুয়ারী মাসের ৩০ থেকে ৩১ জানুয়ারী রাজ্যে বিভিন্ন কর্মসূচী নিয়ে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই দুদিনের মধ্যে একদিন তিনি রাজ্যের যে কোনো একটি ব্লকের একজন কৃষকের বাড়িতে যাবেন। একইসঙ্গে সংগৃহিত মুঠিবদ্ধ চালের খিচুরীও তিনি খাবেন সকলের সঙ্গে। তিনি জানিয়েছেন, বিজেপি নেতারা কৃষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ও কৃষি আইনের ভাল দিক তুলে ধরে গ্রামে গ্রামে যাচ্ছেন। এই চাল সংগ্রহের কর্মসূচি চলছে। এর মধ্যে দিয়ে গোটা রাজ্যের ৪০ হাজার বুথে কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক গড়ে তুলছে বিজেপি। এদিন রাহুল সিনহার সঙ্গে ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী, জেলা কিষাণ সেলের সভাপতি দেবাশীষ সরকার সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরাও।

আরো পড়ুন