রাত পোহালেই বর্ধমানে মোদির সভা, কৌতূহল তুঙ্গে

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: রাত পোহালেই সোমবার বর্ধমানে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী সভা। আগামী ১৭ এপ্রিল পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৮টি আসনে ভোট। ২২ এপ্রিল বাকি ৮টি আসনে ভোট হবে। আর গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলার ১৬টি আসনকেই পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবির মাটি কামড়ে লড়াই শুরু করে দিয়েছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগতপ্রকাশ নাড্ডা থেকে শুরু করে বিজেপিতে সদ্য যোগ দেওয়া মিঠুন চক্রবর্তী, অভিনেতা হীরণ রীতিমত চষে বেড়াচ্ছেন কৃষি অঞ্চলের মাটি। বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি লড়াইও ছাড়তে রাজী নয় গেরুয়া শিবির। আর সেই লড়াইকে আরও উজ্জীবিত করতে সোমবার বর্ধমানের তালিতে সাই কমপ্লেক্সে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভা। 

প্রাথমিকভাবে সকাল ৯টায় তাঁর উপস্থিত হবার কথা
দলীয়ভাবে জানানো হলেও প্রধানমন্ত্রী বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ সোমবার আসতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে।
বিজেপির জেলা নেতা শ্যামল রায় জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর এই সভায় হাজির থাকবেন জেলার ১৬টি বিধানসভারই প্রার্থীরা। হাজির থাকবেন রাজ্যস্তরের একাধিক নেতা। জেলার দুই সাংসদও উপস্থিত থাকবেন।সবারই চোখ এখন বর্ধমানে এসে প্রধানমন্ত্রী কি বক্তব্য রাখেন, কি নির্দেশ দেন – তার দিকেই।

 কারণ রবিবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় বর্ধমানে রোড শো-করে কর্মীদের চাঙ্গা করে গেছেন। আর সোমবার প্রধানমন্ত্রী বর্ধমানে – ফলে আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে বর্ধমানের ভোটের হাওয়া রীতিমতই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, কমবেশি প্রতিটি বিধানসভা এলাকা থেকেই ৩০ থেকে ৩৫ হাজার করে জমায়েতের লক্ষ নেওয়া হয়েছে। সকাল ৮টার মধ্যে সভাস্থলে সবাইকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সবমিলিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সভায় বিজেপির লক্ষ্য এখন আড়াই থেকে তিন লক্ষ লোকের জমায়েত। গত ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জেলার এই ১৬টি আসনের মধ্যে পূর্বস্থলী উত্তর এবং জামালপুর বাদে বাকি ১৪টি আসনই ছিল তৃণমূলের দখলে। কোথাও কোথাও বিজেপি ছিল তৃতীয় স্থানে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে গোটা রাজ্যের সঙ্গে এই জেলার সমস্ত বিধানসভাতেই বিজেপি ক্ষমতা বাড়িয়েছে। একুশের নির্বাচনে এই ১৬টি আসনের মধ্যে বিজেপি কটি আসন দখল করে – সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি এবং তাঁর ভাষণ সেই লক্ষ্যে কতটা এগিয়ে দিতে পারেন সেটাই এখন দেখার।