রায়নায় দীর্ঘদিনের বন্ধ সিপিএম পার্টি অফিস ফের খুললো, সন্ত্রাস প্রসঙ্গে সিপিএম কে তীব্র কটাক্ষ ব্লক সভাপতির

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,রায়না: দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সোমবার ঐতিহাসিক মে দিবস কে সামনে রেখে ফের খোলা হল রায়না বিধানসভার অন্তর্গত মাছখান্ডা গ্রামের সিপিআইএম এর কার্যালয়। রায়না ১ নম্বর ব্লকের সিপিআইএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক কওসের আলির নেতৃত্বে প্রায় শ ‘খানেক দলীয় কর্মী সমর্থক এদিন মিছিল করে এসে নিজেদের পার্টি অফিস ফের খুলে দেয়। প্রায় দু বছর বন্ধ থাকার পর দলীয় কার্যালয় খোলাতে খুশির হাওয়া এলাকার বাম নেতা কর্মীদের মধ্যে।

বিজ্ঞাপন

কওসের আলি বলেন, ‘আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন কে সন্ত্রাসমুক্ত করতে ইতিমধ্যে মানুষ সংঘবদ্ধ হতে শুরু করেছেন। মানুষ যাতে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পায় তার জন্য এদিন মিছিল করা হয়েছে এলাকায়। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা প্রতিটি আসনেই প্রার্থী দেবো। স্বচ্ছ ভাবে যদি পঞ্চায়েত নির্বাচন হয় তাহলে এবারের ভোটে মানুষ বাম প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করবে বলেই আমরা আশাবাদী। এলাকার সকল মানুষ যারা যে রাজনৈতিক দলেরই হোক না কেন যাতে সকলে একত্রিত হয়ে শান্তিতে এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে বাঁচতে পারেন তাই আজকের এই সন্ত্রাস মুক্তকরণ অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। বামেদের আজকের এই কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের ভালো সাড়া পাওয়া গেছে।’

অন্যদিকে সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ তুলেও সিপিএম নিজেদের পার্টি অফিস খোলার প্রসঙ্গে তৃণমূলের রায়না ১ব্লকের সভাপতি বামদেব মন্ডল তীব্র কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন,’ ২০১১সালের পর থেকে রায়নার মানুষ সন্ত্রাস কি জিনিস ভুলে গেছে। আর তার সদ্য প্রমাণ সিপিআইএমের নিজেদের এই কার্যালয় ফের খুলে ফেলা। আমরা গনতন্ত্রে বিশ্বাস করি। হিজলনা অঞ্চলের মানুষ খুব ভাল করে জানেন ২০১১র আগে এই এলাকায় সিপিএম কিভাবে সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার চালিয়েছে। তবু তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর রায়নার কোন সিপিএম নেতা,কর্মী, সমর্থকদের উপর অত্যাচার হয়নি।

বরং গত বিধানসভা নির্বাচনে মাছখান্ডার যে দুটো বুথে সিপিএম বরাবর জিতে আসতো সেই দুটো বুথেও মানুষের ভোটে হেরে গেছে। সুতরাং মানুষ আর ওদের সঙ্গে নেই। বরং ওদের কর্মী সমর্থকরা ও তাদের পরিবারের লোকজন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এর সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। এখন আর মানুষ কে ভুল বুঝিয়ে রাজনীতি করা যাবে না। ওদের যে নেতা ভোটে জেতার স্বপ্ন দেখছেন ওটা তাঁর অলীক কল্পনা। এর সঙ্গে বাস্তবের কোন সম্পর্ক নেই। কারণ রায়না বিধানসভা এলাকার সমস্ত পঞ্চায়েত থেকে প্রতিটি বুথে বসবাসকারী মানুষ রাজ্য সরকারের উন্নয়নের সুফল পেয়েছে। এখন ভোট আসছে বলে কটা লোককে নিয়ে রাজনীতি করতে বেরিয়েছে ওরা। তাতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমাদের সঙ্গে মানুষের সমর্থন রয়েছে।’

আরো পড়ুন