লকডাউনের মধ্যে গলসিতে বোমা উদ্ধারের অভিযোগ কে ঘিরে ফের রাজনৈতিক চাঞ্চল্য

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,গলসী: লকডাউনের মধ্যেই গলসী থানার ভুঁড়ি অঞ্চলের দাসপাড়া আর জেনারেল পাড়ার মাঝে রাস্তার ধারে একটি নালা থেকে বোম আছে সন্দেহে একটি থলি উদ্ধার করলো গলসী থানার পুলিশ।

ঘটনার খবর পেয়ে গলসী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করেছে। যদিও এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ করেছেন, ভোটের আগে থেকেই বিজেপির দুষ্কৃতীরা এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করার জন্য বোমা মজুত করেছিল। এলাকার বিজেপি নেতা অভিজিৎ সিকদারের বাড়ি থেকে সেই সময় বস্তা ভর্তি বোম উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এদিনের বোমা আছে সন্দেহে থলি উদ্ধার হওয়ার পর বোঝা যাচ্ছে তারাই সেই সমস্ত বোমা বিভিন্ন জায়গায় সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।

তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য প্রশান্ত কোনার জানিয়েছেন, এলাকার আদিবাসী এক ব্যক্তি মাঠে কাজ করার সময় মাঠের মধ্যে দিয়ে যাওয়া পাইপ লাইনের কাছে মাটি খুঁড়তে গিয়ে প্রথম একটি থলি দেখতে পান। সন্দেহ হওয়ায় পাড়ার লোককে জানায়। তাঁরাই তাঁকে খবর দেন। এরপর পুলিশ কে খবর দেওয়া হয়। তিনি জানিয়েছেন, থলের মধ্যে সুতলী দিয়ে বাঁধা গোলাকার বেশ কয়েকটি বস্তু রাখা ছিল। সেগুলোকে প্রাথমিক ভাবে বোম বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ থলের মধ্যে কুড়ো দিয়ে সেইগুলোকে চাপা দেওয়া ছিল। জলে ভিজে গিয়েছে সেগুলো। পুলিশ থলিটি ঘটনাস্থলেই রেখে দিয়েছে। পাশপাশি দুর্গাপুরে বোম্ব স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল সকালে বোম্ব স্কোয়াড এর দল এসে পরীক্ষা করে নির্দিষ্ট করবেন উদ্ধার হওয়া বস্তুগুলো বোম নাকি অন্যকিছু।  তিনি জানিয়েছেন, ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসলে বিজেপির দুষ্কৃতীরা এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করার লক্ষ্যেই যেখানে সেখানে বোমা মজুত করে রাখার পরিকল্পনা করেছে।
ভুঁড়ি অঞ্চল উপ প্রধান সুবোধ ঘোষ জানিয়েছেন, বোমা উদ্ধারের খবর পাওয়ার পরই তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। তিনি জানিয়েছেন, ভোটের আগে থেকেই বারবার প্রশাসনকে অভিযোগ করা হয়েছিল এলাকায় বিজেপির নেতা কর্মীরা বোমা মজুত করে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করছে। এক বিজেপি নেতার বাড়ি থেকে প্রচুর বোমাও উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এদিন আবার প্রমান হলো এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করতে বিজেপির দুষ্কৃতীরা সেই সমস্ত বোমা এদিক ওদিক লুকিয়ে ফেলার চেষ্টা করছে।
অন্যদিকে গলসি বিধানসভার বিজেপির পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের অভিযোগ ভোটের রেজাল্ট বেরোনোর পর থেকে এই এলাকার অনেক কর্মীই এলাকা ছাড়া। তৃণমূলের সন্ত্রাসে এখনো বহু কর্মী বাড়ি ফিরতে পারেনি। তাদের বিরুদ্ধে বোমা রাখার অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা।