লকডাউনে বর্ধমানের অভুক্ত ভবঘুরেদের পেটভরে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করলো হরিবংশ

Souris  Dey

Souris Dey

বিজ্ঞাপন

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: করোনা পরিস্থিতির জেরে বিক্ষিপ্ত লকডাউন, দোকানপাট, হোটেল বন্ধের ফলে বেজায় বিপাকে পড়েছে শহরের ভবঘুরে থেকে অসহায় বেশকিছু মানুষ। হটাৎ হটাৎ কবে, কখন সবকিছু বন্ধ হয়ে যাবে, সেই খবরও তাদের কাছে থাকে না। বাস্তবে সমাজের এই অংশের মানুষের এই সব কিছুর খবর রাখার কোনোদিন কোনো প্রয়োজনও পড়েনি। ফলে আচমকা কয়েকদিন পরপর হোটেল, দোকান সহ রীতিমত রাস্তা থেকে মানুষের উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনা এঁদের প্রাত্যহিক জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। স্বাভাবিকভাবেই লকডাউনের দিনগুলোতে নিজের এবং পরিবারের দুবেলা দুমুঠো অন্নের জোগাড় কিভাবে হবে সেই ভাবনায় যখন রাতের ঘুম ছুটে যাওয়ার জোগাড়, তখন এই অসহায় মানুষগুলোর পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। 
শুত্রুবার আগস্ট মাসের রাজ্যজুড়ে লকডাউনের চতুর্থ দিনে বর্ধমান শহরের রেলওয়ে ওভারব্রিজের নীচে প্রায় আড়াইশো জন ভবঘুরে, অসহায় মানুষদের দুপুরের পেট ভরে খাওনোর ব্যবস্থা করলো বর্ধমান রান্নার পাঠশালা নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। আর এই উদ্যোগে সর্বতোভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন বর্ধমানের প্রথিতযশা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হরিবংশের কর্ণধার সমরনাথ দত্ত। সমরনাথ বাবু এদিন জানিয়েছেন, সম্প্রতি এই সংস্থার একটি কর্মসূচির খবর ফোকাস বেঙ্গল নিউজ পোর্টালে দেখতে পান। আর তারপরই তিনি এই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর অনেকদিনের ইচ্ছা ছিল অসহায়, দুস্থ মানুষদের জন্য কিছু করার। কিন্তু একার দ্বারা করা হয়ে ওঠে নি। তাই এবার বর্ধমান রান্নার পাঠশালা সংস্থার এই মহৎ কর্মকান্ডের সঙ্গে নিজের ইচ্ছা পূরণের চেষ্টা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আগামীদিনেও এই মানুষগুলোর জন্য তাঁর সাধ্যমত থাকার চেষ্টা করবেন।
সংস্থার পক্ষে তথাগত জানিয়েছেন, তাঁরা প্রতিটি লকডাউনের দিনগুলিতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় গরিব, দুঃস্থ মানুষদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করে আসছেন। তবে এইভাবে শহরের একটি নামি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান যেভাবে দু’আড়াইশ মানুষকে ভাত,মাংস, তরকারি,মিষ্টি খাইয়ে এবং প্রত্যেককে একটি করে সাবান দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন তা এককথায় অভিনব। এর আগে এই ধরণের প্রাতিষ্ঠানিক সাহায্য তাঁরা পাননি। 

আরো পড়ুন