ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,মেমারী: লকডাউন পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর যোগান যাতে নিরবিচ্ছিন্ন থাকে তার জন্য মেমারী পুরসভার ব্যবসায়ীদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করলেন রাজ্য পুলিশের ডাইরেক্টর জেনারেল বীরেন্দ্র। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের আই জি, ডি আই জি সহ অন্যান্য আধিকারিক, পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহ জেলা পুলিশের আধিকারিক বৃন্দ। এছাড়াও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক, চেয়ারম্যান প্রমুখ।
ডি জি পি বীরেন্দ্র এদিন সংবাদ মাধ্যম কে জানিয়েছেন, পুলিশ ভাল কাজ করছে। সাধারণ মকনুষকে আরও সচেতন হতে হবে। সরকারি নির্দেশ মেনে চলতে হবে। তিনি জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের যোগান যাতে স্বাভাবিক থাকে, এবং কালোবাজারি যেন না হয় তার জন্য ব্যবসায়ী সংগঠনকে বলা হয়েছে। এব্যাপারে প্রশাসনিক পর্যায়ে সবরকমের সহযোগিতা করা হবে।
মেমারী ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক রামকৃষ্ণ হাজরা জানিয়েছেন, লকডাউন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের যোগান বাজারে যাতে স্বাভাবিক থাকে তার জন্য এদিন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে চাল, আলু, ডিম, শাক সবজি, ওষুধ, দুধ ইত্যাদি দ্রব্যের যোগান স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে জানানো হয়েছে। রামকৃষ্ণ বাবু জানিয়েছেন, এব্যাপারে পুলিশ সবরকমের সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাসও দিয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, মূলতঃ কলকাতা এবং বর্ধমান থেকে এই সমস্ত মাল মেমারী বাজারে নিয়ে আসা হয়। তার মধ্যে ওষুধের জন্য বর্ধমানের উপর নির্ভর করে এই এলাকার দোকানদাররা। সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতিতে ওষুধের অকাল দেখা দিয়েছে। ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় বর্ধমান থেকে ওষুধ আনার ক্ষেত্রে অসুবিধা সৃষ্টি হচ্ছে। অপরদিকে কলকাতা থেকেও বড় গাড়ি আসা যাওয়া না করায় বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যে টান পড়তে শুরু করেছে মেমারী বাজারে।
রামকৃষ্ণ বাবু জানিয়েছেন, এদিন পুলিশের পক্ষ থেকে পাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে ব্যবসায়ীদের জন্য। যাতে মালপত্র আনার ক্ষেত্রে অসুবিধা না হয়। অন্যদিকে, ইতিমধ্যে ১০০টি রাইস মিল খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে কালোবাজারি রুখতে এদিন পুলিশের পক্ষ থেকে করা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এদিন মেমারী থানার পক্ষ থেকে দুস্থ মানুষদের হাতে তুলে দেওয়া হয় চাল, ডাল, আলু।