ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: করোনা পরিস্থিতির জেরে নিত্যপ্রয়োজনীয় অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের যোগান প্রায় স্বাভাবিক থাকলেও হাহাকার পরে গেছে মদের যোগান নিয়ে। আর এই পরিস্থিতিতে লকডাউন ভেঙেই হুহু করে এক শ্রেণীর মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন মদ বা নেশার দ্রব্য খুঁজতে। করোনা ভাইরাসে আক্রন্ত হওয়ার ভয় কে হেলায় সরিয়ে দিয়ে মদ্যপায়ীরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন এপাড়া থেকে ওপাড়া শুধু একটু মদ জোগাড় করার জন্য। আর এই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে দাপিয়ে পুঁজি বৃদ্ধি করছে এক শ্রেণীর মদ কারবারিরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লকডাউনের শুরুর দিকে এই পরিস্থিতি তৈরি না হলেও যত দিন গড়াচ্ছে মদের জন্য হাহাকার ততই ভয়ানক রূপ নিচ্ছে। কারণ ২৫ মার্চ কেন্দ্রীয় সরকার দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণার পর মানুষ একপ্রকার প্রায় পায়ে ব্রেক কসেচ। পাশাপাশি পুলিশ ও প্রশাসনের কড়াকড়ি তে রীতিমত ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিল বেশিরভাগ মানুষ। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হচ্ছিল না তাঁরা। কিন্তু লকডাউনের সাত দিন পেরিয়ে ৮দিনে পড়তেই দেখা গেল এক শ্রেণীর মানুষের চাহিদার রেটিংয়ে চাল,ডাল, আলু,সবজির থেকেও মদের চাহিদা কয়েকগুণ বেশি। এযেন ভাত না পেলেও চলবে, কিন্তু মদ চাই যে কোন উপায়ে র মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
পুলিশও নাছোড়বান্দা, নিয়ম করে চলছে রেড। তবু পুলিশি অভিযান কে থোড়াই কেয়ার করে দিব্বি মদ কারবারিরা চোরাগোপ্তা কালোবাজারি চালাচ্ছে শহর জুড়ে। দ্বিগুন, তিনগুন দামে বিকোচ্ছে মদের বোতল। এমনকি দেশি মদের দামও আকাশ ছোঁয়া। ৭০ টাকার মদ বিকোচ্ছে ৩০০ টাকায়! জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অবৈধ ভাবে মদ বিক্রির খবর আসলেই হানা দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পুলিশি অভিযানে বেশ কয়েকজন মদ কারবারি কে আটক করা হয়েছে। জরিমানাও হয়েছে তাদের। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার থেকে শহর জুড়ে বিভিন্ন রাস্তায় চেকিং শুরু হয়েছে। নির্দিষ্ট এবং প্রয়োজনীয় কারণ ছাড়া রাস্তায় কাউকে ঘুরতে দেখলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এরপরেও দৌরাত্ব কমছে না সুরাপ্রেমীদের। সাধারণের অভিযোগ, এতো মারাত্মক ব্যাপার। এই ভাবে যদি লকডাউন ভেঙে এক শ্রেণীর মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে তাহলে সরকারের উদ্দেশ্যই তো বিফলে যাবে। বিপদে পড়বে বৃহত্তর সমাজ! তাই যে কোনো উপায়ে এই মুহূর্তে মানুষের এই ঘর থেকে বাইরে বেরোনোর চেষ্টা কে প্রশাসনের বন্ধ করা উচিত। একইসাথে চোরাই পথে যে সমস্ত মদ বিক্রেতারা নিজেদের আখের গোছাতে এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে।