ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,কলকাতা: আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার বিকেল থেকে কলকাতা-সহ সমস্ত পুরসভায় লক ডাউনের ঘোষণা করলো নবান্ন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে কলকাতা শহর-সহ রাজ্যের সমস্ত পুরসভা এলাকা লক ডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
রবিবার দিল্লিতে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর রাজ্য সরকারকে এই সুপারিশ করেছে কেন্দ্র। ৩১ মার্চ পর্যন্ত লকডাউনের পরামর্শ দেয় তারা। এর পরই নবান্নে বৈঠকে বসে কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত পুরসভা লক ডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। আপাতত ২৭ মার্চ পর্যন্ত এই লক ডাউন বহাল থাকবে বলেই নবান্ন সূত্রে জানানো হয়েছে। আগামিকাল বিকেল থেকে শুরু হবে এই লক ডাউন।
লক ডাউন চলাকালীন সমস্ত প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান ও জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে বলেও ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। যদিও বন্ধ থাকবে গণপরিহন, বাস, ট্রেন, ট্রাম-সহ যাবতীয় যানবাহন। ৫ দিন পরে ফের বৈঠকে বসে পরিস্থিতি বিবেচনা করে লক ডাউন প্রত্যাহারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। তবে অন্তত ৭ দিন এই লক ডাউন চলবে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে লক ডাউনের ঘোষণার পরই বর্ধমান শহরের একাধিক সবজি বাজারে শুরু হয়ে গেলো কালোবাজারি। রবিবার সকালেও যেখানে আলুর দাম ১৩ টাকা থেকে ১৪ টাকা প্রতি কেজি ছিল বিকেলের পরই সেই আলু বর্ধমান স্টেশন বাজারে বিক্রি হলো ২০ থেকে ২২ টাকায়। পাশাপাশি পিঁয়াজের দামও প্রতি কেজি ১৩-১৪ টাকা থেকে লাফিয়ে ২৫টাকা থেকে ৩০টাকায় বিক্রি করলেন সবজি বিক্রেতাদের একাংশ। ক্রেতাদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, একশ্রেণীর ব্যবসায়ী লক ডাউনের ঘোষণার সুযোগ নিয়ে কালোবাজারি শুরু করে দিয়েছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, আগামীকাল থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির দাম আরো বাড়তে পারে বলে এই সবজি বিক্রেতারা জানাচ্ছেন।
এদিকে সোমবার সকালে জনসাধারণ কে আশ্বস্ত করতে পথে নামছে পূর্ব বর্ধমান চেম্বার অফ ট্রেডার্স। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রবিজয় যাদব জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে কোনো সবজির যোগানের অভাব নেই। সুতরাং মূল্যবৃদ্ধিরও সম্ভাবনা নেই। এমনকি সরকার বাজার বন্ধ রাখার মতো কোনো ঘোষণা করেনি। তাই কেউ যদি এই সুযোগে কালোবাজারি করার চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। চন্দ্রোবিজয় জানিয়েছেন, মকনুষকে সচেতন করতেই আগামীকাল সংস্থার পক্ষ থেকে প্রচার গাড়ি শহরে নামানো হচ্ছে।