লটারির টিকিট বিক্রেতাই কোটি টাকার মালিক, আলোড়ন ভাতারে

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,ভাতার: একেই বলে ভাগ্য। চলতি কথায়, কপালের নাম গোপাল। ১৮বছর ধরে অন্যের ভাগ্য ফেরানোর ব্যবসা করতে করতে রাতারাতি নিজেই হয়ে গেলেন কোটিপতি। আর এই চমৎকার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতার গ্রামে। গত ১৮বছর ধরে রামকৃষ্ণ দাস লটারির টিকিট নিয়ে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করছিলেন। এটাই ছিল তাঁর রুজিরুটি। স্ত্রী আর দুই মেয়েকে নিয়ে অভাবের সংসার। একটা ঘরে কোনরকমে মাথা গুঁজে থাকা। এছাড়াও যৌথ সংসারে রয়েছেন পাঁচ ভাই, দুই বোন আর বাবা।

বিজ্ঞাপন

গতকাল রাতে কৃষ্ণ দাস নিজেই নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করতে ৩০ টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কেটে নেন। আর তাতেই ঘটে যায় চমৎকার। রাতে টিকিটের ফল ঘোষণা হতেই তিনি জানতে পারেন তার টিকিটেই কোটি টাকার প্রথম পুরস্কার লেগেছে। স্বাভাবিকভাবেই কৃষ্ণ দাসের পরিবারে এই খবরে খুশির হাওয়া। তার স্ত্রী মনা দাস জানান, তাঁদের বিয়ের পর থেকেই সংসারে অভাব অনটন নিত্য সঙ্গী। মেয়ে জামাই বাড়িতে বেড়াতে এলে তাঁদের বাইরে ঘুমাতে হয়। বৃষ্টিতে, শীতকালের চরম কষ্ট হয়।

তাই তাঁর স্বপ্ন এবার একটা ভালো বাড়ি করার। অপরদিকে রামকৃষ্ণ দাস জানান, লটারির ব্যবসা করে তিনি নিঃস্ব হয়ে গেছেন। বাজারে কয়েক লক্ষ টাকার ঋন হয়ে গেছে তাঁর। এই অবস্থায় কোটি টাকার লটারি পাওয়ায় তিনি হাতে চাঁদ পেয়েছেন। তিনি এও জানিয়েছেন, এই টাকা তাঁকে ভগবান জগন্নাথ দিয়েছেন। এবার লটারির ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে একটি নতুন টোটো কিনে টোটো চালাবেন তিনি। এদিকে ভাতার বাজারে খোদ লটারি ব্যবসায়ী রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভাতারের বিভিন্ন লটারির কাউন্টারে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে।

আরো পড়ুন