ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার পর অবশেষে শুক্রবার উদ্বোধন হতে চলেছে বর্ধমানের রমনাবাগান জুলজিক্যাল পার্কের প্রকৃতি বীক্ষণ কেন্দ্র। শুক্রবার এই প্রকৃতি বীক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায়। জেলা বনাধিকারিক দেবাশীষ শর্মা জানিয়েছেন দীর্ঘদিন ধরেই তাঁদের পরিকল্পনায় ছিল এই প্রকৃতি বীক্ষণ কেন্দ্র তৈরী করার।
কারণ জঙ্গল ও পশুপক্ষীদের সম্পর্কে জানা ও তাদের সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা সকলের প্রয়োজন। বিশেষ করে স্কুলের ছেলেমেয়েদের এব্যাপারে জানাতেই এই ধরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, এই বীক্ষণ কেন্দ্রে থাকছে জঙ্গল ও পশু পাখীদের সম্পর্কে বিভিন্ন রকম তথ্য। থাকছে হাতি সম্পর্কে নানান অজানা তথ্য। দেবাশীষবাবু জানিয়েছেন, মাঝে মাঝেই লোকালয়ে হাতিরা ঢুকে পড়ে। তা নিয়ে উত্তেজনাও সৃষ্টি হয়। হাতি লোকালয়ে ঢুকে পড়ে কেন? এই সময় কি করা উচিত – প্রভৃতি বিষয় সম্পর্কে থাকছে নানান তথ্য।
তিনি জানিয়েছেন, বর্ধমানের পূর্বস্থলীর চুপি চড়ে রয়েছে বিশাল এলাকা জুড়ে পাখিরালয়। এই পাখিরালয় সম্পর্কে অনেকেই কিছু জানেন না। রমনাবাগানে এলে সেই চুপির পাখিরালয় নিয়েও থাকছে নানান তথ্য। থাকছে সাপ নিয়ে নানান তথ্য। কোন সাপ বিষধর, কোন সাপ বিষধর নয়, সাপে কামড়ালে কি করা উচিত – সেই বিষয় সম্পর্কেও থাকছে এই প্রকৃতি বীক্ষণ কেন্দ্রে বিভিন্ন তথ্য। এরই পাশাপাশি জঙ্গলমহল এলাকায় যাঁরা বসবাস করেন, যে সমস্ত বনরক্ষা কমিটি রয়েছে- তাঁরা কিভাবে থাকেন, কি কাজ করেন তা নিয়েও থাকছে আলাদা প্যাভিলিয়ন।
এছাড়াও বনদপ্তরের অধীনে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা জুড়ে যে সমস্ত ট্যুরিজম স্পট রয়েছে সে সম্পর্কেও থাকছে বিস্তারিত তথ্য। দেবাশীষবাবু জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহ জুড়েই চলছে ওয়ার্ল্ড লাইফ উইক। তারই মধ্যে এই প্রকৃতি বীক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন করায় আসন্ন দুর্গাপূজোর সময় দর্শকরা ভীষণভাবে খুশী হতে পারবেন।
তিনি জানিয়েছেন, প্রতিটি প্যাভিলিয়নেই থাকছে ইংরাজী ও বাংলায় সমস্ত বিবরণ ও তথ্য। থাকছে বর্ধমানের রমনাবাগান গড়ে ওঠার ইতিহাসও। এককথায় পশুপ্রেমী, প্রকৃতিপ্রেমী দর্শকরা এখন থেকে রমনা বাগানে শুধু পশু পক্ষীই দেখবেন না, পাশাপাশি তাদের সম্পর্কে এবং জঙ্গল সম্মন্ধেও অনেক কিছু জানতে পারবেন একই সাথে।