সংবাদ মাধ্যমে নতুন দিগন্তের সূচনা, তৈরি হল ডিজিটাল মিডিয়া ঐক্যমঞ্চ

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ওয়েব ডেস্ক: প্রযুক্তির রমরমার যুগে সংবাদ মাধ্যমের প্রয়োজনীয়তা যখন একপ্রকার তুঙ্গে, ঠিক সেই সময় মূল ধারার খবরের কাগজ কিম্বা দৃশ্য শ্রবণ মাধ্যমের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে দ্রুত গতিতে জনপ্রিতার শিখরে উঠে চলেছে ডিজিটাল সংবাদ মাধ্যম। বিশেষজ্ঞদের অনেকে আবার এই ডিজিটাল মিডিয়া কে খবর প্রকাশের নিরিখে নিউজ পেপার বা নিউজ চ্যানেল গুলির থেকে বর্তমানে কিছুটা এগিয়েই রাখছেন। 

বিজ্ঞাপন
কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, মূলত খবর প্রকাশের ক্ষেত্রে সময়ের ফারাক। অর্থাৎ ডিজিটাল মিডিয়াগুলো একটা সংবাদ কে যত দ্রুত তাদের পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে সক্ষম হচ্ছেন, মূল ধারার সংবাদ মাধ্যম সেক্ষেত্রে তা পারছে না। কার্যত বর্তমান প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বের যেকোন প্রান্তের যেকোন খবর অতি সহজে এই ডিজিটাল প্লাটফর্ম পৌঁছে দিচ্ছে সমাজের যেকোন স্তরের পাঠকের হাতের মুঠোয় – জাস্ট মুহূর্তের মধ্যে। এখন আর পাঠককে কয়েক ঘন্টা বা পরের দিনের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। ফলে দিন দিন গুরুত্ব বাড়ছে ডিজিটাল মিডিয়ার।

তবু, স্বীকৃতি নেই ডিজিটাল সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত হাজার হাজার সাংবাদিক থেকে তাঁদের ডিজিটাল ওয়েব চ্যানেল, নিউজ পোর্টাল থেকে শুরু করে ইউ টিউব বা ফেসবুক নিউজ চ্যানেল গুলির। আর তাই এবার স্বীকৃত সংবাদ মাধ্যমের স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে একজোট হতে শুরু করল রাজ্যের ডিজিটাল সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিকরা এবং খোদ মালিক পক্ষও। 
সম্প্রতি এই সমস্ত ডিজিটাল মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত এবং খবর সংগ্রহের কাজে লিপ্ত সকলে নিজেদের অধিকার অর্জনের লক্ষ্যে  ‘ডিজিটাল মিডিয়া এসোসিয়েশন’ নামে একটি সংগঠন তৈরি করল। ইতিমধ্যেই এই সংগঠনের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি মনোনীত হয়েছেন অরিন্দম রায়চৌধুরী। সহ-সভাপতি করা হয়েছে শুভ্রজিত দত্ত এবং চঞ্চল পাল কে। অরিন্দম বাবু জানিয়েছেন, এই সংগঠনে ডিজিটাল মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি হাউস যুক্ত হতে পারে এই নতুন সংগঠিত সংগঠনের সাথে।
ইতিমধ্যে  রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে সংবাদ মাধ্যমের সাথে যুক্ত উপযুক্ত প্রতিনিধিদের বাছাই করে কমিটি গঠন করে এগিয়ে চলার কাজ শুরু করেছে এই সংগঠন। এই সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য, সাংবাদিকদের সুযোগ সুবিধা সহ তাদের অধিকার সরকারের কাছে তুলে ধরা। আগামীদিনে এই সংগঠনই পথ দেখাবে, পথ দেখাবে লড়াই করে নিজেদের অধিকার ছিনিয়ে নেবার বলেই দাবি করছেন নবনিযুক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংবাদিকরা। এরই মধ্যে প্রেস ব্যুরো ইনফরমেশন সহ রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যালয়ে এই সংগঠনের অস্তিত্বের কথা সাংগঠনিক ভাবেই পৌঁছে গেছে। সরকারের তরফে পরবর্তীতে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয় তা সময়ই বলবে, তবে সমাজের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদমাধ্যম চলবে তার নিজ কলমকে হাতিয়ার করেই।

আরো পড়ুন