সবকিছু সহ্যের একটা সীমা আছে – অনুব্রত মণ্ডলকে হুঁশিয়ারী মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহর

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: সব কিছু সহ্যের একটা সীমা আছে। মঙ্গলকোটের মানুষরা ভাল। কিন্তু তাদের গরম করা হচ্ছে। আমার কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। সাড়ে চার বছর ধরে এটা সহ্য করছি। কিন্তু এবার কঠিনভাবেই বিষয়টা নিয়ে ভাবছি। সিদ্দিকুল্লাহকে এভাবে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। চাইলে তিনিও ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন। কিন্তু সিদ্দিকুল্লাহ – কোনো অশান্তি চাননা, কোনো গোলমাল চান না। শুক্রবার সন্ধ‌্যায় বর্ধমান সার্কিট হাউসে সাংবাদিক বৈঠকে এভাবেই ফের তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নাম না করেই তোপ দাগলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী তথা মঙ্গলকোটের বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। 

বিজ্ঞাপন

এদিন মন্ত্রী নাম না করে অনুব্রত মন্ডলকে একহাত নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে সুব্রত বক্সীর উপস্থিতিতে অনুব্রত মণ্ডলের সাথে মিটিং হয়। ওই মিটিংয়ে তিনি ছিলেন একদিকে একা, অন্যদিকে, অনব্রত মণ্ডলের ৬জন। সুব্রত বক্সী সকলকে একসঙ্গে কাজ করার কথা বলেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীও একসাথে কাজ করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু সেদিনের কথা মানা হয় নি। এখন সামনে নির্বাচন, একসাথে কাজ করা উচিৎ। সিদ্দিকুল্লাহ এদিন বলেন, রাতের অন্ধকারে বিজেপির সঙ্গে আলোচনা করবে আর সিদ্দিকুল্লাকে লালচোখ দেখাবে এটা বরদাস্ত করা যাবে না। এই সময় মারামারি করে কোনও লাভ হবে? তাঁর অভিযোগ, যেখানেই তিনি যাচ্ছেন সেখানেই তাঁর কর্মীদের হুমকি দিচ্ছে অনুব্রতর অনুগামীরা। 
তিনি বলেন, সাড়ে চার বছর ধরে সহ্য করে আছি। সহ্যের একটা সীমা আছে। বীরভূমের গরম হাওয়া মঙ্গলকোটকে গরম করুক তিনি চান না। এদিন ফের পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম, কেতুগ্রাম এবং মঙ্গলকোট এই তিন বিধানসভার দায়িত্ব থেকে অনুব্রতকে সরানোরও দাবি তোলেন তিনি। সিদ্দিকুল্লাহ জানান, এর আগেও তিনি এই কথা বলেছেন। আবারও বললেন। তিনি বলেন, তাঁর লোকদের চোখ রাঙানো বরদাস্ত করবেন না, প্রয়োজনে রোজ মঙ্গলকোট যাবেন। চাইলে তিনি পাঁচশো গাড়ির মিছিল করতে পারেন বীরভূমে। কিন্তু তিনি যেখানে যাচ্ছেন সেখানেই তাঁর কর্মীদের শাসানো হচ্ছে। তাদের সাবধান হওয়া উচিত, কারণ এতে দল ও মুখ্যমন্ত্রীর মুখ পুড়ছে। মুখ পুড়ছে মুখ্যমন্ত্রীর দুয়ারে দুয়ারে সরকার প্রকল্পেরও। তিনি এদিন বলেন, মুখ বুঝে এতদিন সব সহ্য করেছেন, কিন্তু এবার কঠিনভাবে ভাবছেন। শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী জানিয়ে গেলেন, একদিকে বিশাল একটা দল অন্যদিকে এক ব্যক্তি।

আরো পড়ুন