ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: সরকার কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থ। খোদ শাসকদলের নেতারাই রেড ভলেণ্টিয়ারের কাছে সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছেন। সরকারী ব্যর্থতার জন্যই বেসরকারী নার্সিংহোমগুলি এই মহামারীর সময়ে মুনাফা লোটার ধান্দায় নেমেছে। সরকারীভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে না। আর সরকারী এই ব্যর্থতার পাশাপাশি সমান্তরাল সরকারীভাবে যে পরিষেবা কোভিড রোগীদের জন্য দেওয়ার কথা ছিল সেই কাজ করছেন গোটা রাজ্যের সঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে রেল ভলেণ্টিয়াররা। মঙ্গলবার বর্ধমানে সাংবাদিক বৈঠকে এমনই দাবী করলেন এসএফআই-এর জেলা সম্পাদক অনির্বাণ রায়চৌধুরী এবং সভাপতি বিশ্বরূপ হাজরা।
বিজ্ঞাপন
এদিন অনির্বাণ জানিয়েছেন, এই করোনা মহামারীতে যখন গোটা রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। সেই সময় বর্ধমানের রাজ কলেজ এবং বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ইউআইটি কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে বিভিন্ন সেমিষ্টারের জন্য অতিরিক্ত ফি দিতে বলেছেন। যা রীতিমত অমানবিক ও অন্যায়। তিনি অভিযোগ করেছেন, কলেজ বন্ধ অথচ ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে লাইব্রেরীর ফি, বিদ্যুতের ফি নেওয়া হচ্ছে। তাঁরা দাবী জানিয়েছেন, অবিলম্বে ছাত্রছাত্রীদের এই ফি মুকুব করতে হবে এই মহামারীর সময়ে।
এদিন এরই পাশাপাশি অনির্বাণ জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতিতে গোটা জেলায় বামপন্থীরা ২৪ ঘণ্টা সমস্ত প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে মানুষের সেবায় কাজ করে চলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, কেবলমাত্র এসএফআই জেলা কমিটির প্রায় ৩৮২জন রেড ভলেণ্টিয়ার এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার মানুষের উপকারে লেগেছেন। তিনি জানিয়েছেন, শুধু তাইই নয়, খোদ শাসকদলের নেতারাই তাঁদের কাছে করোনা রোগীদের জন্য সাহায্যের জন্য আবেদন জানাচ্ছেন। যা তাঁদের কাজের উৎসাহ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, আউশগ্রাম, গুসকরা, বর্ধমান শহরের একাধিক তৃণমূল নেতা তাঁদের ফোন করে করোনা রোগীদের সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
অনির্বান জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত তাঁরা প্রায় ৪০০ জন করোনা রোগীদের জন্য অক্সিজেন সিলিণ্ডার পৌঁছে দিয়েছেন। যাঁদের আর্থিক অবস্থা খারাপ তাঁদের বিনামূল্যেই তাঁরা এই পরিষেবা দিচ্ছেন। যাঁদের সামর্থ্য আছে তাঁরা অক্সিজেন রিফিলিং চার্জ বাবদ অর্থ দিচ্ছেন। কেউ কেউ তাঁদের আর্থিকভাবে সাহায্য করছেন। উল্লেখ্য, একদিকে যখন সাধারণ মানুষ অক্সিজেন সিলিণ্ডারের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন, পাচ্ছেন না – সেখানে কিভাবে অবলীলাক্রমে রেড ভলেণ্টিয়াররা অক্সিজেন সিলিণ্ডার পাচ্ছেন এবং তা পৌঁছে দিচ্ছেন – এই প্রশ্নে অনির্বাণ জানিয়েছেন, বাজার থেকে চড়া দামে বেশ কিছু সিলিণ্ডার কিনেছেন। অনেক সহৃদয় ব্যক্তি তাঁদের বাড়িতে রাখা সিলিণ্ডার দিয়েও সাহায্য করছেন।