সামাজিক বয়কট কাটাতে অভিনব ফুটবল, পুরস্কারও অভিনবত্ব পাল্লা পল্লিমঙ্গলের
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: কোভিড রোগী, কোভিড যোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের অনেক ক্ষেত্রেই সামাজিক বঞ্চনা বা বয়কটের শিকার হতে হচ্ছে অমানবিক ভাবে। এমনকি করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এলেও সমাজের একাংশ এই মানসিকতা থেকে বেরোতে পারছেন না। ফলে সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। পাড়া প্রতিবেশীদের অনেকেও ঠিকমত মেলামেশা করতে চাইছেন না সুস্থ হয়ে ফিরে আসা কোভিড রোগীদের সঙ্গে। যেখানে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখার প্রয়োজনের কথা বলা হয়েছে, সেখানে করোনা কে জয় করে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের থেকে আর কোনো সমস্যা না থাকার কথাই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবুও এই সমস্যা কিছুটা হলেও রয়ে যাচ্ছে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। আর এই সমস্যার মূলে রয়েছে গুজব আর কুসংস্কার বলেই মনে করছেন শিক্ষিত সমাজ।
আর এবার এই সমস্যা থেকে সকলকে সচেতন করতে এক অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করলো মেমারীর পাল্লারোড পল্লীমঙ্গল সমিতি। করোনা কে হারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের সাথে সাধারণ খেলোয়ারদের একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচের আয়োজন করলো পল্লিমঙ্গল সমিতি। সমিতির মাঠে শুত্রুবার বিকেল ৪টা থেকে এই ম্যাচ সংগঠিত হয়। মজার ব্যাপার, এই রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ শেষ পর্যন্ত সেই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ছেলেরাই জিতে নিলো ৫-৪ গোলে। উল্লেখ্য কোভিড পজিটিভ ছিলেন শুভদীপ মন্ডল। তিনিই একাই তিনটি গোল করে সুস্থ স্বাভাবিক ছেলেদের কাছ থেকে এই ম্যাচ ছিনিয়ে নেন।
আসলে কোভিড জয়ীদের সামাজিক বয়কট না করে সম্মানের চোখে দেখা উচিত, সর্বোপরি কোভিড জয়ীরা সুস্থ হয়ে ওঠার পর শারিরীক ভাবে ফিট হয়ে যায় খুব তারাতারি। এই বার্তাই দিতে এই খেলার আয়োজন বলে জানিয়েছেন, পল্লিমঙ্গল সমিতির সম্পাদক সন্দীপন সরকার। তিনি জানিয়েছেন, কোভিডের জন্য সচেতনতা দরকার। ভীতি না। তিনি জানিয়েছেন, এই খেলার পুরস্কারেও অভিনবত্ব আনা হয়েছে। যে টিম হারবে তাদের উপর দায়িত্ব বর্তাবে তার বাড়ির আশপাশের প্রতিবেশীদের কোভিড টেস্ট করানোর জন্য প্রচার চালানোর। আর যারা জিতবে তাদের পুরস্কার হিসাবে দেওয়া হবে উর্দ্ধমুখী বাজারে প্রত্যেকের জন্য ২কেজি করে আলু।