সেপ্টেম্বর থেকে পূর্ব বর্ধমানে দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু নিয়ে চুড়ান্ত অনিশ্চয়তা
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে সেপ্টেম্বর মাস থেকেই দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু করার ব্যাপারে ২৭ আগষ্ট নির্দেশিকা জারী করা হয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। কিন্তু এই নির্দেশিকা দেবার পরই একাধিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলল ওয়েষ্ট বেঙ্গল এম আর ডিলার এ্যাসোসিয়েশনের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটি। সরকারী এই নির্দেশিকা নিয়ে তাঁদের একাধিক অসুবিধার কথা তুলে ধরে ইতিমধ্যেই জেলা খাদ্য নিয়ামককে চিঠি দিয়েছে এই সংগঠন। ফলে আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে জেলায় দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তার মেঘ ঘনীভূত হতে শুরু করেছে।
সংগঠনের দুই যুগ্ম সম্পাদক বিকাশ সরকার এবং কবিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তাঁরা প্রতি কুইণ্টাল খাদ্যের জন্য অতিরিক্ত ৭৫ টাকা কমিশন পাবেন। কিন্তু যদি একজন রেশন ডিলারের অধীনে ৪ হাজার উপভোক্তা থাকে তাহলে তিনি পাবেন ১৫০০০ টাকা কমিশন। তাঁরা জানিয়েছেন, দুয়ারে রেশন প্রকল্প রুপায়ণ করতে গেলে যে গাড়ির প্রয়োজন হবে তাতে প্রতিমাসে প্রায় ১২ হাজার টাকা কিস্তি বাবদ, চালক বাবদ ১০ হাজার টাকা, তেল খরচ বাবদ ৪৫০০ টাকা, বিমা ও ট্যাক্স বাবদ ১৫০০ টাকা, মাসিক গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১ হাজার টাকা, অতিরিক্ত খরচ ১৮০০০ টাকা, ই-পস মেশিনের শ্রমিকের জন্য ৭০০০ টাকা, গ্যারেজ ভাড়া বাবদ ৫০০০ টাকা খরচ হবে। ফলে সব মিলিয়ে প্রায় ৫৯ হাজার টাকা খরচ হবে।
কিন্তু তাঁরা পাবেন ১৫ হাজার টাকা। ফলে বাকি ৪৪ হাজার টাকা কিভাবে তাঁরা পাবেন – তা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। একইসঙ্গে খাদ্যদ্রব্য বারবার বিভিন্ন জায়গায় পরিবহণ করতে গিয়ে যে ঘাটতি দেখা দেবে তা কিভাবে পূরণ করা হবে তা নিয়েও সুনির্দিষ্ট তাঁদের কিছু জানানো হয়নি। এছাড়াও ইণ্টারনেট, বিভিন্ন গ্রামে গাড়ি যাতায়াতের অনুকূল পরিবেশ না থাকা, খাদ্যদ্রব্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কিভাবে করা হবে – প্রভৃতি বিষয়গুলি রয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এব্যাপারে কোনো সদর্থক উত্তর না মেলায় পূর্ব বর্ধমান জেলায় আদপেই সেপ্টেম্বর মাস থেকে দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু নিয়ে দেখা দিয়েছে ঘোর সংশয়।