সোমবার বর্ধমানে জোড়া কর্মসূচিতে বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রী, তুঙ্গে তৎপরতা, জোরদার নিরাপত্তা

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: জোড়া কর্মসুচিতে সোমবার বর্ধমানের গোদার বালির মাঠে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষকদের নানা প্রকল্পে সম্মান প্রদানের পাশাপাশি একটি জনসভাও করবেন মুখ্যমন্ত্রী। আর মুখ্যমন্ত্রীর বর্ধমান আগমন উপলক্ষে প্রশাসনিক তৎপরতা তুঙ্গে। তবে এরই মধ্যে আবহাওয়া দপ্তরের রিপোর্ট জেলা প্রশাসনের কর্তাদের ঘোর চিন্তায় রেখেছে। রিপোর্টে দুপুরের পরে বৃষ্টি হবার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ রয়েছে। ফলে স্বাভাবিক কারনেই সভায় আসা মানুষদের সমস্যার পাশাপাশি হেলিপ্যাড থেকে নেমে মঞ্চে আসার পথে বৃষ্টি হলে সমস্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রীর সভামঞ্চ যেভাবে তৈরী হয়েছে তাতে বৃষ্টি হলেও কোন সমস্যা হবে না। এদিনও জেলা প্রশাসনের একাধিক কর্তা ব্যক্তিরা সভাস্থল ঘুরে দেখেন।

মঞ্চের দায়িত্বে থাকা এক নির্মাণকর্মী বলেন, ‘এখানে যে ভাবে স্টেজ ও তার সামনের অংশ তৈরী হয়েছে তাতে বৃষ্টিতে কোনভাবেই ভিতরে জল ঢুকবে না। তবে তাঁবুর মতন ডিজাইনে করা এই মঞ্চের পাশে কিন্তু জল দাঁড়িয়ে যাবে। সেই জল ভিতরে ঢুকলে সমস্যা হতে পারে। তাই পাশ দিয়ে একটি নালা তৈরী করা হবে।’ এদিকে বৃষ্টির কারণে সভার সময় এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে বলে বিভ্রান্তি ছড়ালেও এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সফরের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সময় সূচির কোন পরিবর্তন হয়নি। যে সময়ে নির্দিষ্ট করা ছিল সেই সময়েই সভা হবে। আমরা লোকেদের তাড়াতাড়ি সভা স্থলে আসার কথা বলেছি। বেলা ১টার মধ্যে যেন সবাই চলে আসেন।’
জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা বলেন, ‘আমার কাছে সরকারিভাবে মুখ্যমন্ত্রীর সভার সময়সূচির কোন পরিবর্তনের কথা জানানো হয়নি। পূর্ব নির্ধারিত বেলা আড়াইটা নাগাদ সভা হবে গোদার মাঠেই। আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি কে কেন্দ্র করে সভাস্থল সহ গোটা শহরে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বর্ধমান রেঞ্জের আইজি ভরতলাল মীনার নেতৃত্বে তৈরী করা হয়েছে নিরাপত্তা বলয়। সভা মঞ্চে ওঠার ক্ষেত্রেও থাকছে কঠোর নিরাপত্তা। শহরে কোনভাবেই যাতে যানজট না হয় তার জন্য বিভিন্ন পয়েন্টে নো-এন্টি থেকে গাড়ি চলাচলে রাশ টানা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রীর সভা মঞ্চের কাছাকাছি নির্দিষ্ট কিছু গাড়ি ছাড়া অন্য কোন গাড়ি যাওয়া বন্ধ থাকবে।
মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুদার বলেন, ‘রাজ্যের নতুন করে নথিভুক্ত হওয়া কৃষকবন্ধু প্রকল্পের জন্য খরিপ মরশুমে ২ হাজার তিনশো ৮৫ কোটি টাকার প্রকল্পের শুভ সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী বর্ধমানের মঞ্চ থেকে। কৃষকবন্ধু প্রকল্পে নতুন করে যাঁরা বিবেচিত হয়েছে এমন রাজ্যের ৮৯ লক্ষ কৃষক কে আর্থিক সহায়তা করা হবে। সেই প্রকল্পের শুভ সূচনা হবে বর্ধমান থেকেই। প্রতিটি প্রকল্পের জন্য এদিন পাঁচ জনের হাতে এই সুবিধা নিজেই তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। পরবর্তী সময়ে  রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এই সুবিধা কৃষকরা যেমন পেয়ে এসেছেন তেমনই পাবেন।’ জেলা তৃণমূলের সভাপতি ও কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ২৩টি ব্লক থেকেই কৃষকরা যেমন আসবেন। তেমনই আমাদের কর্মীরাও আসবেন। দলের পক্ষ থেকে আমরা কর্মীদের আনার জন্য বাসের ব্যবস্থা করেছি।’

Recent Posts