ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: বৃষ্টির দেখা নেই, সকাল থেকেই হাঁসফাঁস অবস্থা চলছে। এদিকে সপ্তাহের প্রথম দিন সোমবার পূর্ব বর্ধমান জেলার তাপমাত্রা ছাড়াল ৪২ ডিগ্রি। গত কয়েকদিন ধরেই উষ্ণতার পারদ বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে এদিন জেলার বেশ কিছু জায়গা থেকে খবর পাওয়া গেছে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। প্রায় কমবেশি ১৫জন ছাত্র ছাত্রীর অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে এদিন। বর্ধমান শহরের কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়েই ১০ জন ছাত্রছাত্রী সোমবার অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।
জেলা আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন পূর্ব বর্ধমান জেলায় বিকাল অবধি তাপমাত্রা ছিল ৪২.১ ডিগ্রী। রাস্তা ঘাট ছিল প্রায় ফাঁকা। বেলা ১১টার পর থেকেই লু বয়েছে চারিদিকে। স্কুলের ভিতরে থাকলেও গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে ছাত্রছাত্রীরা। কৃষ্ণপুর হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি শেখ নুরুল হুদা বলেন, ‘এই গরমে অবিলম্বে সকালে স্কুল করতে না পারলে স্কুল বন্ধ করে দিতে হতে পারে। ছেলে মেয়েরা এসে অসুস্থ হয়ে পড়ছে গরমে। আজ আমাদের স্কুলে প্রায় দশজন অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। প্রধান শিক্ষক নিজে উদ্যোগী হয়ে প্রাথমিক সুশ্রুসার পরে তাদের বাড়ি পাঠিয়েছে। ক্লাস ঘরে বসতে পারছে না ছেলে মেয়েরা।’
একাধিক অভিভাবক এদিন জানিয়েছেন, এখন যা পরিস্থিতি তাতে বাড়িতেও সব জানলা দরজা বন্ধ করে থাকা যাচ্ছে না। সেখানে স্কুলে কি অবস্থা হচ্ছে সেটা বোঝাই যাচ্ছে। সরকার যদি এখনও মর্নিং স্কুল না করে তাহলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়বে। কৃষ্ণপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সৌমেন কোনার জানিয়েছেন, গরমের জন্য স্কুলের প্রার্থনা বাইরে না করিয়ে ক্লাসের ভিতরেই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ছেলে মেয়েদের ক্লাসের বাইরে বেশি বেরোতে বারন করা হয়েছে। বেশি করে জল খেতে বলা হয়েছে সবাইকে। ওআরএস দেওয়া হচ্ছে সকলকে। তিনি জানিয়েছেন, এদিনই স্কুল শুরু হওয়ার পরই বিভিন্ন ক্লাস থেকে খবর পান কোনো ছাত্রের মাথা ঘুরছে। কারুর শ্বাসকষ্টের মতন হচ্ছে। পুরোটাই গরম থেকে হচ্ছে। কিন্তু সরকারি নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা চাইলেও সকালে স্কুল করতে পারছেন না।
জেলা শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে এদিন খন্ডঘোষ, রায়না, কেতুগ্রাম ও গলসি এলাকারও পাঁচজন ছাত্রছাত্রী গরমে অসুস্থ হয়ে গিয়েছে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক শ্রীধর প্রামাণিক বলেন, ‘আমাদের কাছে সরকারি কোন নির্দেশিকা নেই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের স্কুলে মর্নিং স্কুল করার। আমাদের প্রধান শিক্ষকরা যদি তাঁদের সমস্যার কথা জানিয়ে চিঠি দেন তাহলে আমরা বিষয়টি রাজ্য শিক্ষা দপ্তরে জানাবো।’