সোমবার বর্ধমানে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়, তীব্র চর্চা শুরু

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: সোমবার বর্ধমানে আসছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। খোদ রাজ্যপালই ট্যুইট করে একথা জানানোর পর পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে রীতিমত চর্চা শুরু হয়ে গেল। রবিবারই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় দুটি ট্যুইট করেন। এই দুটি ট্যুইটে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, ৪ জানুয়ারী তিনি সস্ত্রীক (সুদেশ ধনকড়) বর্ধমান যাচ্ছেন। সেখানে সর্বমঙ্গলা মন্দিরে পুজো দেবেন। যাবেন ১০৮ শিব মন্দিরেও। এরপর দুপুর ১২টা ১৫ নাগাদ তিনি বর্ধমান সার্কিট হাউসে সাংবাদিক বৈঠক করবেন। একইসঙ্গে তিনি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসাবে আধিকারিকদের সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন বলে চর্চা শুরু হয়েছে। 

তিনি জানিয়েছেন, বর্ধমান ধান উৎপাদনের ভাণ্ডার। রয়েছে এখানে ট্যুরিজমের সম্ভাবনাও। তাই এব্যাপারেও তিনি আলোচনা করতে পারেন বিভিন্ন জনের সঙ্গে। আর রাজ্যপালের এই বর্ধমান সফরকে ঘিরেই শুরু হয়েছে নতুন করে চাঞ্চল্যও। বিশেষ করে আদপেই রাজ্যপালের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো আধিকারিক দেখা করবেন কিনা তা নিয়েও রীতিমত সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে, সৃষ্টি হয়েছে তীব্র কৌতূহলেরও। কারণ সম্প্রতি কয়েকমাস আগেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় বনাম বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আকচাআকচি একসময় শহর জুড়ে চর্চার প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
রাজ্যপাল মনোনীত সহ উপাচার্য বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর গৌতম চন্দকে দায়িত্বই নিতে দেয়নি রাজ্য সরকার। রাজ্যপাল মনোনীত সহ উপাচার্যের নাম ঘোষণার পরই তড়িঘড়ি রাজ্য সরকার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগীর বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর আশীষ কুমার প্রাণীগ্রাহীকে সহ উপাচার্য্যের দায়িত্বে বসিয়ে দেয়। তা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক টানাপোড়েনের পর চ্যাপ্টার ক্লোজড করা হয়। আবার এখানেই থামা নয়, খোদ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর ফারাক্কা থেকে ফেরার পথে বর্ধমান সার্কিট হাউসে এসে জানিয়ে যান ১৯ নভেম্বর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট মিটিংয়ে আসছেন। কথা বলবেন ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে। কারণ কিছু অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। তাই সরাসরি ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে চান।

 বলা বাহুল্য রাজ্যপালের সেদিনও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা হয়নি। কারণ তাঁর এই ঘোষণার পরই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাইচন্দ্র সাহা গুরুতর অসুস্থ হয়ে কলকাতার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। বাতিল হয়ে যায় উল্লেখিত কোর্ট মিটিং। বস্তুত, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এই সম্পর্কের মাঝেই আজ বর্ধমান সার্কিট হাউসে আদপেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো আধিকারিক প্রোটোকল মেনে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন কিনা তাই দেখার বিষয়। এদিকে, রাজ্যপালের বর্ধমান সফরকে ঘিরে সোস্যাল মিডিয়ায় রীতিমত ঝড় বইতে শুরু করে দিয়েছে। 

বিশেষত, রাজ্যপালের একটি ট্যুইটে বর্ধমান বানান নিয়ে চলছে জোর আলোচনাও। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিজেপির মঞ্চে ‘গণতন্ত্র’ হয়ে গিয়েছিল ‘গনতন্ত্র’। যা বেজায় অস্বস্তিতে ফেলেছিল গেরুয়া শিবিরকে। একটি ট্যুইটে বর্ধমান সফরের কথা জানাতে গিয়ে ‘বানান বিভ্রাট’ করে বসেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ‘Bardhaman’ বানান তিনি লেখেন ‘BURDMAN’। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও অন্য ট‌্যুইটে তিনি বর্ধমান বানান ঠিক লিখলেও earlierএর বদলে ealierলিখেছেন।

Recent Posts