সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণ বাংলার এক অপূরণীয় ক্ষতি, শোকস্তব্ধ বর্ধমানবাসী

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: গত বছরই বর্ধমান পৌর উৎসবের উদ্বোধন করতে এসে তাঁর ভরাট গলায় দুটি আবৃত্তি মুগ্ধ করেছিল আপামর বর্ধমানবাসীকে। সেই স্মৃতি এখনো জ্বলজ্বল করছে। এরই মধ্যে সৌমিত্র বাবুর চলে যাওয়ার সংবাদ মন থেকে মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। শুধু আমাদের বাংলাই নয়, সারা দেশের কাছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়ান এক অপূরণীয় ক্ষতি। এদিন এই ভাবেই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু প্রসঙ্গে নিজের অভিমত ব্যক্ত করলেন বর্ধমান পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মুখ্য আধিকারিক অমিত গুহ। 

 অন্যদিকে, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর নিজের স্মৃতিতে ডুব দিলেন বর্ধমান পুরসভার ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল অপূর্ব দাস। তিনি জানালেন, ফাইট কোনি, ফাইট – সেই ডায়লগ আজও কানে বাজছে। চোখের সামনে তাঁর নাটকের অভিনয় আজও শিহরণ জাগায়। তিনি চলে গেলেন – খুব খারাপ লাগছে। বাম আমলে একাধিকবার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বর্ধমানে এসেছেন। বর্ধমান সংস্কৃতি লোকমঞ্চ, টাউন হলে একাধিক পূর্ণাঙ্গ নাটক করেছেন। শেষ তিনি এসেছিলেন গত বছর শাঁখারপুকুর হাউসিং মাঠে বর্ধমান পৌর উত্সবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে। সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রেখেছিলেন। আর দুটি আবৃত্তি করেছিলেন। সেই দুটি আজ কানে বাজছে। 

ববর্ধমান পুরসভার প্রাক্তন পৌরপতি ডাঃ স্বরূপ দত্ত জানিয়েছেন, সৌমিত্র বাবুর এই মৃত্যু নায়কোচিত। প্রায় ৪০ দিন একদিকে সি ও পি ডি , ক্যান্সার এবং করোনার সঙ্গে লড়াই করেছেন তিনি। সারা জীবন যেভাবে সংস্কৃতির আঙ্গিনায় বহুমুখী প্রতিভা নিয়ে নায়কের মত বিরাজ করেছিলেন, জীবনে শেষ প্রান্তে এসে মারণব্যাধিগুলোর সঙ্গেও একইভাবে লড়াই করে গেছেন নায়কের মতোই। তবে এই ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়। স্বরূপ বাবু জানিয়েছেন, গতবছর শেষবারের মতো বর্ধমান পৌর উত্সবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসে সৌমিত্রবাবু প্ল্যাষ্টিক বর্জন করার জন্য বর্ধমানবাসীর কাছে আবেদন রেখেছিলেন। প্ল্যাষ্টিকের কুফল নিয়েও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রেখেছিলেন। শরীর তখনই খারাপ ছিল, তাই বেশীক্ষণ তিনি মঞ্চে ছিলেন না। স্বাভাবিকভাবেই রবিবার দুপুরে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবর এসে পৌঁছাতেই বর্ধমান বাসী মুষড়ে পড়ল। মুখে মুখে ফিরল তাঁর বর্ধমান আসার স্মৃতি।

Recent Posts