স্কুলে ঢুকে সুপারের নেতৃত্বে বহিরাগতদের তাণ্ডব পড়ুয়াদের উপর, জখম বহু উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়া, গ্রেপ্তার সুপার সহ পাঁচ
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,মেমারি: হস্টেলের ভেতরে ঢুকে উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়াদের পেটানোর অভিযোগ উঠলো বহিরাগতদের বিরুদ্ধে। পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি দুর্গাডাঙায় আল আমিন মিশনের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বহিরাগতদের অতর্কিত হামলায় জখম হয়েছে অন্তত কুড়ি জন পড়ুয়া। তাদের লোহার রড, লাঠি, বাঁশ দিয়ে মারধর করা হয়। তাদের অনেককেই স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার্থীদের ওপর এমন হামলায় উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
অভিযোগ ওই স্কুলেরই সুপারিটেনডেন্টের নেতৃত্বে বহিরাগতরা ঢুকে পড়ুয়াদের মারধর করে। আক্রান্ত পড়ুয়ারা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ করেই ৩০ – ৪০ জন বহিরাগত লোহার রড লাঠি নিয়ে চড়াও হয়। আবাসিকদের ঘরে ঢুকে মারধর করা হয়। প্রাণভয়ে পালাতে চাওয়া পড়ুয়াদের রেয়াত করা হয়নি। তাদেরও আটকে মারধর করা হয়। এমনকি বহিরাগতরা স্কুলেও ভাঙচুর চালায়। কাচের জানলা, দরজার ভেঙে দেওয়া হয়। প্রত্যেকের হাতেই লাঠি, বাঁশ, লোহার রড ছিল হামলার জন্য তৈরি হয়ে এসেছিলো তারা। মারধরে ১৫-২০ জন পড়ুয়া জখম হয়। হামলাকারীরা চলে গেলে স্থানীয়রা জখম পড়ুয়াদের উদ্ধার করে মেমারি গ্রামীন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
মেমারি দুর্গাডাঙায় আল আমিন মিশন। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীর আবাসিকরা এখানে থেকে পড়াশুনা করে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরেই এখানে নিম্নমানের খাবার সরবরাহ করছিল। এছাড়াও এখানে পরিকাঠামোগত কয়েকটি সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়ে আসছিল পড়ুয়ারা। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আল আমিন মিশন একাডেমির মেমারি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপার হাসিবুল আলমের কাছে পড়ুয়ারা দাবি জানাতে যায়। তখন সুপারের সঙ্গে পড়ুয়াদের কথা কাটাকাটি হয়। সুপারের জন্যই সঠিক মানের খাবার মিলছে না বলে অভিযোগ ওঠে। আর তার জেরেই সুপার ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের ডেকে এনে তাণ্ডব চালায়।
পড়ুয়ারা বলছে, খাবারের মান ঠিক করার কথা বলতে যাওয়া হয়েছিল। তার পরিনতি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন আমাদের ওপর যে এমন নির্মম নির্যাতন হবে তা ভেবে উঠতে পারিনি। এই অবস্থায় শুক্রবারের পরীক্ষা কিভাবে দেব তা বুঝে উঠতে পারছি না।আবাসিকদের ওপর হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় মেমারি থানার পুলিশ। এই ঘটনায় একাডেমির সুপার হাসিবুল আলম সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।ধৃতদের আজ বর্ধমান আদালতে তোলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পাশপাশি সুপারের নেতৃত্বে আরো কারা হামলা চালিয়েছে তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।