স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড নিয়ে কোনো অনিয়ম বরদাস্ত নয় – বর্ধমানে নতুন কমিটি গঠন করে নজরদারী
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান:সোমবার নদীয়ার রাণাঘাটের সভা থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় হুঁশিয়ারী দিয়েছেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড যদি কোনো নার্সিংহোম বা বেসরকারী হাসপাতাল ফেরত পাঠায় সরকারের হাতে লাইসেন্স রয়েছে তা বাতিল করার। আর মুখ্যমন্ত্রী যখন রাণাঘাটের সভা থেকে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন সেই সময় পূর্ব বর্ধমান জেলার নার্সিংহোম মালিকদের নিয়ে বৈঠক করলেন জেলাশাসক মহম্মদ এনাউর রহমান।
নার্সিংহোম মালিক তথা নার্সিংহোম ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিকে নিয়ে এদিন ১৩জনের একটি শক্তিশালী কমিটিও গঠন করা হয়েছে স্বাস্থ্য সাথী ইমপ্লিমেন্টেশন এণ্ড মনিটরিং কমিটি নামে। কমিটিতে রয়েছেন খোদ জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, সমস্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক, মুখ্য স্বাস্থ্যাধিকারিক সহ স্বাস্থ্য অধিকারীকগণ, ওসি হেল্থ সহ নার্সিংহোম এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। এদিন বৈঠক শেষে নার্সিংহোম এ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য চেয়ারম্যান সেখ আলহ্বাজউদ্দিন জানিয়েছেন, পূর্ব বর্ধমান জেলায় চলতি সময়ে ১২০টি নার্সিংহোম রয়েছে। তার মধ্যে ১৮টি নার্সিংহোমে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেওয়া হত না। তিনি জানিয়েছেন, সরকারের নির্দেশে মঙ্গলবারের মধ্যে এই নার্সিংহোমগুলিকেও প্যানেলভুক্ত করা হবে। কোনো নার্সিংহোম সরকারি এই সুবিধার আওতার বাইরে থাকবে না।
তিনি জানিয়েছেন, এদিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, কোনোভাবেই যাতে রোগী হয়রানি না হয় তার জন্য এই কমিটি নজরদারী করবে। যদি কোনো নার্সিংহোম রোগী হয়রানি করে বা তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আসে তাহলে সেই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে আইনগত কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আলহ্বাজউদ্দিন জানিয়েছেন, কোনো ক্ষেত্রে যদি দেখা যায় কোনো রোগী স্বাস্থ্যসাথীর জন্য আবেদন করেছেন কিন্তু কার্ড পাননি তাহলেও তাঁর সেই আবেদনের ভিত্তিতে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং জরুরী ভিত্তিতে তাঁকে কার্ড দেবার ব্যবস্থা করবে এই কমিটি।
এছাড়াও যদি কোনো রোগীর এলাকায় স্বাস্থ্যসাথীর ক্যাম্পে কার্ড না হয়ে থাকে অথচ তিনি জরুরী চিকৎসার সুবিধা পেতে চান তাহলেও তাঁর দ্রুত কার্ড দেবার ব্যবস্থা করবে এই কমিটি। সেখ আলহ্বাজউদ্দিন জানিয়েছেন, এদিনের এই নতুন কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, কোনোভাবেই পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকে যাতে একটিও অভিযোগ না আসে সেদিকেই খেয়াল রাখবে এই কমিটি।