হিমঘরে রাখা চাষীদের দু লক্ষ প্যাকেট আলু নষ্টের ক্ষতিপূরণ দেবে কর্তৃপক্ষ
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,মেমারি: সম্প্রতি মেমারি ১ ব্লকের নিমো ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিষ্ণুপুর গ্রামে তিরুপতি কোল্ড স্টোরেজে মজুদ দু লক্ষ প্যাকেট আলু নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চাষীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। এমনকি ক্ষতিপূরণের দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন তারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ কে রাস্তায় নামতে হয়েছিল। অবশেষে দীর্ঘ টালবাহানার পর চাষিদের ক্ষতিপূরণ দেবার কথা জানাল হিমঘর কর্তৃপক্ষ।
অতিরিক্ত জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকের পর হিমঘর কর্তৃপক্ষ চাষীদের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয়। মেমারি ১ ব্লকের বিডিও আলি মহম্মদ ওয়ালিউল্লাহ নিজে ক্ষতিগ্রস্থ চাষি সহ অন্যদের সঙ্গে কথা বলে তাদের আশ্বস্ত করেছিলেন, নিয়ম মেনেই যাতে চাষিরা ক্ষতিপূরণ পায় সে বিষয়ে তারা চেষ্টা চালাবেন। সোমবার জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক শানা আকতারের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় চাষিদের ক্ষতিপূরণ বাবদ ৯০০ টাকা প্রতি বস্তা ক্ষতিপূরণ পাবেন চাষীরা।
উল্লেখ্য তিরুপতি কোল্ড স্টোরেজের ভূলে প্রায় ২ লক্ষ প্যাকেট আলু নষ্ট হয়ে যাবার অভিযোগ উঠেছিল গত ২১ মে। কোল্ড স্টোরেজের সামনেই রাস্তায় নষ্ট আলু ফেলে দিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন চাষীরা। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছিলেন তারা। তারপর থেকেই বারেবারেই ব্লক ও পুলিশ প্রশাসন চাষিদের নিয়ে হিমঘর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল। বিডিও আলি মহম্মদ ওয়ালিউল্লাহ বলেন,‘সোমবার অতিরিক্ত জেলাশাসকের ঘরেই হিমঘরের মালিক ও তাদের লোকেদের উপস্থিতিতে চাষি সহ অনান্যদের প্রতিনিধি নিয়ে বৈঠকে সিধান্ত হয়েছে চাষিদের ৯০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। চাষিরাও সেটা মেনে নিয়েছে। মালিক পক্ষও মেনে নিয়েছেন। ২১ জুন থেকে চাষিরা এই ক্ষতিপূরণের টাকা পাবেন।’
হিমঘরের ম্যানেজার কাজি মেহবুব জাহেদি ওরফে রানা বলেন, ‘আমরা প্রশাসন যা বলেছেন সেটা মেনে নিয়েছি। আমাদের কাছে এখনও অবধি হিসেবে সাড়ে তিন হাজার চাষির আলু রাখার বন্ডের হিসেব রয়েছে। সেই মতন আমরা আস্তে আস্তে টাকা দেব চাষিদের।’ জেলার পুলিশ সুপার বলেন, ‘পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পরে চাষীদের আলুর ক্ষতিপূরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপরেও যদি কেউ পরবর্তীতে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত না মানে, আর তার জন্য আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি হয় তখন পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নেবে।’