১২বছর পর রায়নায় সিপিএম কর্মী খুনের মামলায় বেকসুর খালাস ২৭জন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: ২০০৯ সালের ২৭ফেব্রুয়ারি রায়না থানার হিজলনা অঞ্চলের বামুনিয়া গ্রামে সিপিএম কর্মী নুরুল ইসলাম দেওয়ান খুনের মামলায় ২৭জন অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দিলেন বর্ধমান আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্টের বিচারক। প্রায় ১১বছর পর এই মামলার রায় ঘোষণার পর খুশি বিচারপ্রার্থীরা। যদিও মামলা চলাকালীন এই ২৭জনের মধ্যে সুবোধ ঘোষ নামে এক বিচারপ্রার্থী মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী সদন তা। তিনি জানিয়েছেন, বাম আমলে মিথ্যা মামলায় বিরোধীদলের বহু কর্মীদের গাঁজা, খুন, ধর্ষণের মামলায় জেলে পুরে দিয়েছিল তৎকালীন সিপিএমের নেতারা। সেইরকমই একটা গ্রাম্য বিবাদ কে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় রায়না থানার হিজলনা অঞ্চলের ২৭জনের বিরুদ্ধে খুনের মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিল সিপিএম। সেই মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ, সাক্ষীর বয়ান বিচার করে মহামান্য বিচারক এদিন এই ঘটনায় অভিযুক্ত ২৭জনকে নিঃশর্ত বেকসুর খালাসের রায় দিয়েছেন।
এদিন রায় ঘোষণার পর এই মামলায় অভিযুক্ত বর্তমানে রায়না ১ বিধানসভার ব্লক সভাপতি তথা বাম আমলের দোর্দণ্ড প্রতাপ তৃণমূল নেতা বামদেব মন্ডল জানিয়েছেন, ২০০৮, ০৯, ১০ সালে তৃণমূলের আন্দোলনে তৎকালীন সিপিএম নেতাদের রায়না বিধানসভায় নিজেদের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছিল। তৃণমূলের সেই সময়ের প্রথম সারির কর্মীদের লক্ষ্যেই ছিল হার্মাদ বাহিনীর সেই সিপিমকে এলাকা থেকে উৎখাত করা। আর সেই লক্ষ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রায়না জুড়ে যে আন্দোলন শুরু করেছিল তৃণমূল নেতা কর্মীরা, তাদের আটকাতে সিপিএম এই সমস্ত নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে ভুঁড়ি ভুঁড়ি মিথ্যা মামলা সাজিয়ে মাসের পর মাস জেল খাটিয়েছিলো। বামদেব মন্ডল জানিয়েছেন, তবু ২০১১ সালে এই রায়নায় বামেদের দুর্গ চুরমার করে তৃণমূল জয়লাভ করেছিল। তিনি জানিয়েছেন, এই মামলার রায় রায়নার হিজলনা সহ গোটা এলাকার কর্মীদের নতুন করে উজ্জীবিত করবে। এতদিন নিষ্ক্রিয় কর্মীরা আবার নতুন করে দলের কাজে ঝাঁপাবে। তিনি জানিয়েছেন, এবারেও তৃণমূল কংগ্রেস লক্ষাধিক ভোটে বিরোধীদের পরাস্ত করবে রায়না বিধানসভায়।