১৭২বছরের প্রাচীন বিদ্যালয় প্রশাসনিক উদাসীনতায় জরাজীর্ণ

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্বস্থলী: স্কুলের হেরিটেজ বিল্ডিংটি সরকারি অনুদানে সংস্কার করে দেওয়া হোক। এই দাবি নিয়ে পূর্বস্থলী নীলমনি ব্রহ্মচারি ইন্সটিউট কর্তৃপক্ষ এক দশক ধরে ব্লকের উন্নয়ন আধিকারিক, জেলাশাসক থেকে রাজ্যস্তর পর্যন্ত বারবার আবেদন জানিয়ে আসছেন। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। এরইমধ্যে ওই ভবনেনের ৪০ শতাংশ ভেঙে পড়েছে। ইতিমধ্যে অনেক শিক্ষক চাকরি থেকে অবসরও নিয়েছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত হেরিটেজ বিল্ডিং সংস্কারের জন্য এক টাকাও বরাদ্দ হয়নি। এই নিয়ে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ। এমন অবহেলার কারণ নিয়ে ইতিমধ্যে এলাকায় প্রশ্নও উঠেছে।

শুক্রবার স্কুল ভবন সংস্কারের বিষয় নিয়ে ওই স্কুলে গিয়েছিলেন একদল প্রাক্তন ছাত্র। তারা নীলমনি ইন্সটিটিউটের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মদনমোহন ঘোষের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। এরই পাশাপাশি ওই প্রাক্তন ছাত্ররা প্রধান শিক্ষককে জানিয়ে আসেন, তাঁরা ১০জন মিলিতভাবে বিদ্যালয়ের হেরিটেজ বিল্ডিং সংস্কারে জন্য ২ লক্ষ টাকা দিতে চান। শুধু তাই নয়, পাশিপাশি সংস্কারের বাকি অর্থের জন্য তারা অন্যান্য প্রাক্তন ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে এদিন তাঁরা প্রধান শিক্ষকের হাতে একটি স্মারকলিপিও তুলে দেন। যাতে ইমেল করে তাদের দাবি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌছে দেওয়া হয়।
স্কুল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮৮৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক স্তরে পড়ানো স্বীকৃতি পায় এই স্কুলটি। তখন ওই স্কুলের নাম ছিল ভিক্টরিয়া ইন্সটিটিউশন। ১৯৩০ সালে কালাজ্বরের ওষুধের আবিস্কারক উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারির পিতা নীলমনি ব্রহ্মচারির নামে ওই স্কুলের নাম করন হয়। বর্তমানে ওই মুল ভবনটি বয়স ১৭২ বছর। স্বাভাবিকভাবেই ঐতিহ্যবাহী সার্দ্ধশতবর্ষ প্রাচীন বিদ্যালয়ের প্রতি প্রশাসনের অবহেলা নিয়ে সোচ্চার হয়েছে অভিভাবক থেকে ছাত্র ছাত্রীরা।