ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: বিদায় ২০২০। আগামী নতুন ইংরাজী বছর যেন ভাল কাটে, দুর্যোগ কাটে – এই কামনা নিয়েই শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলার পুজো দিলেন কাতারে কাতারে ভক্ত। ভক্ত সমাগমের জন্য সর্বমঙ্গলা ট্রাষ্ট কমিটির পক্ষ থেকে স্যানিটাইজার গেটেরও ব্যবস্থা করা হয়। এদিন এই মন্দিরে পুজো দিলেন বর্ধমান পুরসভার ৪নং ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি নুরুল আলমও। তিনি জানিয়েছেন, জাত-ধর্ম কিছু নেই। রাজনীতি করতে গিয়ে কে কোন ধর্মের তাঁরা যেমন বিচার করেন না। তেমনি মায়ের মন্দিরেও কোনো বিচার নেই। এদিন তিনিও বর্ধমান বাসীর মঙ্গলকামনায় পুজো দিয়েছেন সমর্থকদের নিয়ে। এদিন পূজো দিয়ে সংগীত শিল্পী শিল্পী রায় জানিয়েছেন, ২০২১ যেন ভাল কাটে। করোনার মত দুর্যোগ, আর্থিক মন্দা যেন আর কোনোদিন ফিরে না আসে – সেই কামনাই করেছেন।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে, এদিন করোনা আবহকে দূরে সরিয়ে রেখে ১ জানুয়ারীতে ভিড় উপচে পড়ল সদরঘাটে দামোদরের চড়ে। চলল পিকনিক পার্টির হৈ হুল্লোড়, খাওয়া দাওয়াও। এরই মাঝে উড়ান সংস্থার পক্ষ থেকে সদরঘাট এলাকার দুঃস্থ শিশুদের জন্যও পিকনিকের আয়োজন করা হয়। উড়ানের সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় মজুমদার জানিয়েছেন, সদরঘাট এলাকায় পিকনিক হচ্ছে। অথচ এই শিশুরা দূর থেকে তা দেখছে। তাদের পিকনিক করার সামর্থ্য নেই। তাই তাদের মুখেও আনন্দ ফোটাতে এদিন ৭০জন শিশুকে নিয়ে তাঁরা পিকনিকের আয়োজন করেছেন। তাদের মেনুতেও ছিল ভাত, ডাল, আলু চিপস, ফুলকপির তরকারি, মুরগীর মাংস, চাটনি, পাঁপড়, মিষ্টির এলাহি ব্যবস্থা।
অপরদিকে, এদিন মেমারীর পল্লী মঙ্গল সমিতির সম্পাদক সন্দীপন সরকার জানিয়েছেন, ১ জানুয়ারী প্রতিবছরের মতই এবারও দামোদরের চড়ে চড়ুইভাতির ভিড় ছিল উপচে পড়ার মত। প্রায় ১ হাজার মানুষ এদিন পাল্লা রোডের দামোদরের চড়ে পিকনিকে মজেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, গত ৩ বছর ধরে পল্লী মঙ্গল সমিতি এই দামোদরের চড়ে পিকনিকে আসা মানুষদের থার্মোকল, প্লাষ্টিক বর্জন করার ডাক দিয়ে চলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এদিন ১০০০-এর মধ্যে মাত্র ৬০জন থার্মোকল নিয়ে এসেছিলেন। তাঁদের সেই থালা বদলে দেওয়া হয়েছে শালপাতা। একইসঙ্গে এদিন পিকনিকে অধিকাংশ মানুষই ভুলে গিয়েছিলেন করোনার কথা। তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে মাস্ক, স্যানিটাইজার। শুধু তাইই নয়, করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ ঠেকাতে এদিন পিকনিক দলগুলিকে দড়ি দিয়ে বেঁধে আলাদাও করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়।