জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ বাগবুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৈঠকে হাজির ছিলেন জেলার সমস্ত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, জয়েণ্ট বিডিওরাও। এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বাকি ৪২ শতাংশ পরিবারে এই প্রকল্পের সহায়তা পৌঁছে দিতে জমি চিহ্নিত করণের কাজ শেষ করতে হবে আগামী ২০ জুলাইয়ের মধ্যে। আগামী ২০ জুলাইয়ের মধ্যে জমি চিহ্নিত করে প্রস্তাব জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, বাকি এই ৪২ শতাংশ পরিবারের জন্য মোট ১৪৪টি নতুন প্রকল্পের কাজ শুরু হতে চলেছে। বাগবুল ইসলাম জানিয়েছেন, রাজ্য জনস্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে গোটা জেলায় সার্ভে করা হয়েছে। ছোট, মাঝারি এবং বড় প্রকল্প হবে প্রয়োজনমত।
১৪৪টি প্রকল্পের মধ্যে কয়েকটি ব্লকে বড় প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই ধরণের বড় প্রকল্পগুলিতে একসঙ্গে বেশ কয়েকটি মৌজাকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বর্ধমান ২নং পঞ্চায়েত সমিতির অধীন আলিশা মৌজায় একটি বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে ১৩টি মৌজার বাসিন্দারা উপকৃত হবেন। প্রায় ২০ হাজার পরিবার এই প্রকল্প থেকে সুবিধা পাবেন। এজন্য আলিশা মৌজায় ২৪ কাঠা জমি চিহ্নিত করা হচ্ছে। বাগবুল ইসলাম জানিয়েছেন, এই ১৪৪টি প্রকল্পে মোট প্রায় ২২ লক্ষ পরিবার উপকৃত হবেন। উল্লেখ্য, এদিন এই বৈঠকে সলিড ওয়েষ্ট ম্যানেজমেণ্ট প্রকল্প নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত গোটা জেলায় বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১৪টি এই প্রকল্প চালু হয়ে গেছে। বাকি প্রায় ১৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতেও প্রকল্পের কাজ শেষ। সেগুলি আগামী ১৫ আগষ্ট স্বাধীনতা দিবসের দিন উদ্বোধন করা হবে। উল্লেখ্য, গ্রামীণ এলাকায় যত্রতত্র বাড়ির নোংরা আবর্জনা না ফেলে পচনশীল এবং অপচনশীল দ্রব্যগুলিকে পৃথকভাবে জমা করার পর পচনশীল দ্রব্যগুলিকে নিয়ে এই সলিড ওয়েষ্ট ম্যানেজমেণ্ট প্রকল্পে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে এই সমস্ত দ্রব্য দিয়ে তৈরী হচ্ছে জৈব উন্নতমানের সার।