---Advertisement---

২৪ ফ্রেব্রুয়ারি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮তম সমাবর্তন অনুষ্ঠান, উপস্থিত থাকছেন আচার্য্য তথা রাজ্যপাল

Souris Dey

Published

  1. ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮তম সমাবর্তন উৎসব অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আগামী ২৪ফ্রেব্রুয়ারি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানতে পারা গেছে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ‘প্রটোকল’ অনুযায়ী আসতে চলেছেন রাজ্যপাল তথা আচার্য্য সি ভি আনন্দ বোস। জানতে পারা গেছে ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের দপ্তর থেকে এই বিষয়ে সম্মতিসূচক চিঠি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে এসে পৌঁছেছে। আর এরপরই সমাবর্তন ঘিরে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ব্যস্ততা চরমে পৌঁছেছে।

একধিকবার এই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কের বিষয় হয়ে ওঠা রেজাল্ট কেলেঙ্কারির ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি এই সময় না ঘটে তার জন্য রীতিমত কোমর বেঁধে নেমেছেন পরীক্ষা নিয়ামক দপ্তর। কার্যত বিতর্কহীন, নির্ভুল রেজাল্ট প্রকাশের লক্ষ্যে রাতদিন এক করে কাজ করছে পরীক্ষা নিয়ামক দপ্তর। 

বিজ্ঞাপন

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার সুজিত চৌধুরী বলেন, ‘সমস্ত দিক মাথায় রেখেই আমরা ২৪তারিখের জন্য তৈরী হচ্ছি। ২৪তারিখ দিনটি রাজ্যপালের দপ্তর থেকেই নির্দিষ্ট করা হয়েছে। সুতরাং বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গরিমা বজায় রেখেই সমগ্র অনুষ্ঠান যাতে সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয় সেইদিকটাই সুনিশ্চিত করা হচ্ছে।’

সূত্রের খবর বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসে ৩৮ তম এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে হাজির থাকার জন্য প্রাথমিকভাবে অমর্ত্য সেনের বাড়িতে গিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাইচন্দ্র সাহা ও রেজিস্টার সুজিত চৌধুরী। যদিও এই সময়ে দেশে না থাকার কারনেই অমর্ত্য সেন বিশ্ববিদ্যলয়ের অনুষ্ঠানে আসতে পারছেন না বলেই কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্মত্য সেনের আসার প্রসঙ্গে নিমাইবাবু বলেন, ‘আমরা অমর্ত্য সেনের মতন মানুষকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আমন্ত্রন জানাতে গিয়েছিলাম এটা ঠিক। তবে সেটা সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আসার জন্য নয়। উনি আমাদের জানিয়েছেন, বিদেশে থাকার কারণে এখন উনি আসতে পারবেন না। তবে পরবর্তী সময়ে যখন উনি দেশে ফিরবেন, তখন অবশ্যই তিনি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন। ওনার মতন গুণী, বিগদ্ধ মানুষ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ওনার মূল্যবান বক্তব্য রাখলে আমাদের অধ্যাপক, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী থেকে ছাত্রছাত্রীরা সকলেই উপকৃত হব।’

See also  নদীর বাঁধেই বালির স্টক! বাঁধের রাস্তা দিয়েই চলছে ভারী বালির গাড়ি, ধ্বসের আতঙ্কে ঘুম উড়েছে গ্রামবাসীদের

উপাচার্য নিমাই পাল বলেন,’ রাজ্যপালের দপ্তর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সমাবর্তন অনুষ্ঠান বিষয়ে সাত দফা প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছিল সমাবর্তন উৎসবের প্রসঙ্গে। আমরা নির্দিষ্ট সময়েই সেই উত্তর দিয়ে রাজ্য উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। জানতে চাওয়া চাওয়া হয়েছিল, কাদের ডিলিট ও ডিএসসি দেওয়া দেওয়া হচ্ছে। প্রধান অতিথি হিসেবে কাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কতজন কে মেডেল দেওয়া হবে। পিএইচডি প্রাপকের সংখ্যা কত ইত্যাদি বিষয়ে।’

শেয়ার করুন 🤝🏻

Join WhatsApp

Join Now
---Advertisement---