ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, গলসি: বোমা-বারুদের স্তুপের ওপর দাঁড়িয়ে আগামী ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে ভোট হতে চলেছে বর্ধমানের গলসী বিধানসভায়। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিধানসভার ২ জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ এবং ১টি জায়গা থেকে তাজা বোমা উদ্ধারকে ঘিরে এবার গোটা জেলা জুড়েই তীব্র চাপান উতোর শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক মহলে। গলসী ১নং ব্লকের আটপাড়া এবং রাইপুরে বোমা বিস্ফোরণের পর এবার গলসী ২নং ব্লকের মসজিদপাড়ার মাঝপাড়ায় একটি তিল ক্ষেত থেকে উদ্ধার হল ব্যাগ ভর্তি বোমা।
বিজ্ঞাপন
বুধবার সকালে স্থানীয় গ্রামবাসীরাই এই বোমা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। গলসী থানার পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে রেখে খবর দেয় সিআইডির বোম স্কোয়াডকে। এই ঘটনায় গোটা গলসী বিধানসভা জুড়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান উতোর। তৃণমূল এই ঘটনায় অভিযোগের তীর ছুঁড়েছে বিজেপির দিকে। অন্যদিকে, বিজেপি অভিযোগ করেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আর রাজনৈতিক এই দড়ি টানাটানিতে প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে পুলিশ তথা নির্বাচন কমিশনের কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভোটের ডিউটি। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য পাড়ায় পাড়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে রুট মার্চ করানো হচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও খোদ গলসী বিধানসভাতেই গত ৭২ ঘণ্টায় তিন জায়গায় বোমা উদ্ধারকে ঘিরে ব্যাপক আতংক সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
আগামী ২২ এপ্রিল গলসী বিধানসভায় ভোট। কিন্তু ভোটের আগেই যেভাবে গলসী থেকে বোমা উদ্ধার হচ্ছে, বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে তাতে গোটা বিধানসভাই বোমা ও বারুদের স্তূপে দাঁড়িয়ে রয়েছে বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটাররা। এদিকে, পরপর ৩ জায়গায় বোমাকে ঘিরে ব্যাপক আতংক সৃষ্টি হয়েছে গলসী অঞ্চলে। এই ঘটনায় বিজেপির জেলা কমিটির সহ সভাপতি রমন শর্মা জানিয়েছেন, গলসী বিধানসভায় তৃণমূল নিশ্চিত হারছে বুঝতে পেরেই গোটা বিধানসভা জুড়ে বোমা-বারুদ মজুদ করেছে।
তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূল সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়ে ভোট জিততে চাইছে। গোটা এলাকাকে ভয় কবলিত করতে চাইছে। রমন শর্মা জানিয়েছেন, পুলিশ এই বোমা কারা রাখছে, কারা বোমা মজুদ করছে তার দ্রুত তদন্ত করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করুক। অন্যদিকে, এই ঘটনায় বিজেপির দিকেই আঙুল তুলে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিত দাস জানিয়েছেন, বিজেপি গোটা জেলা জুড়েই ঝাড়খণ্ড থেকে লোক নিয়ে এসে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইছে। তারাই বোমা, গুলি আমদানী করে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইছে।