বর্ধমানে সাংসদ সুনীল মন্ডলকে মনোনয়ন কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা, হুঁশিয়ারী নির্বাচন কমিশনের অধিকারিককে, চাঞ্চল্য

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: ভোটের ফলাফল ঘোষণা হতে এখনও ঢের বাকি। সবেমাত্র প্রথম দফার ভোট হয়েছে। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পঞ্চম ও ষষ্ঠ দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পূর্ব বর্ধমান জেলায়। এখন চলছে মনোনয়ন পত্র জমা দেবার কাজ। ইতিমধ্যেই পঞ্চম দফার নির্বাচনের জন্য জেলার বিভিন্ন বিধানসভা থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। জমা দিয়েছেন বর্ধমানের রায়না বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী মানিক রায়ও। কিন্তু মঙ্গলবার সেই মানিক রায়ের জমা দেওয়া মনোনয়ন পত্র খতিয়ে দেখতে এসে রীতিমত নির্বাচন কমিশনের আধিকারিককে হুঁশিয়ারী দিলেন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা বর্ধমান পূর্বের সাংসদ বিজেপি নেতা সুনীল মণ্ডল। 

বিজ্ঞাপন

সোমবার মানিক রায় তাঁর মনোনয়ন পত্র জমা দেন। মঙ্গলবার তিনি ফের দুজনকে নিয়ে আসেন মনোনয়ন পত্র খতিয়ে দেখতে। তিনি যথারীতি জেলাশাসককরণের 
মনোনয়ন কেন্দ্রে ঢুকে যাবার বেশ কিছুক্ষণ পর আসেন সাংসদ সুনীল মণ্ডল। কিন্তু যথারীতি তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তিনি নিজের পরিচয় দিলেও কর্তব্যরত নির্বাচন কমিশনের আধিকারিক তথা কর্তব্যরত ম্যাজিষ্ট্রেট ভগীরথ হালদার তাঁকে জানিয়ে দেন নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুসারে প্রার্থী ২জনকে নিয়ে ভেতরে ঢুকে গেছেন। স্বাভাবিকভাবেই আর কাউকে যেতে দেওয়া হবে না। ম্যাজিষ্ট্রেট সুনীল মণ্ডলকে জানিয়ে দেন, যদি প্রার্থীর সঙ্গে থাকা ২জনের একজন ফিরে আসেন তাহলে তাঁর পরিবর্তে তিনি যেতে পারেন। কিন্তু তাতে সম্মতি জানালেও ভিতর থেকে কেউ ফিরে আসেননি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সুনীলবাবু ঢুকতে পারেননি।

 আর এরপরই তিনি মেজাজ হারিয়ে কর্তব্যরত ম‌্যাজিষ্ট্রেটকে বলেন, ” ইনষ্ট্রাকশন তো দুদিনের। এরপর তো ইনষ্ট্রাকশন আমরাই দেবো। ”সুনীল মণ্ডলের এই মেজাজ হারানোর ঘটনায় এদিন রীতিমত আলোড়ন পরে। যদিও এব্যাপারে সুনীল মণ্ডলকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি হুমকি দেবার ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। কার্যত, তিনি ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে সাংবাদিকদের বলেন, সবার ক্ষেত্রে নিয়ম সমান হওয়া উচিত,সেটাই তিনি বলতে চেয়েছেন। তারপরই তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন তৃনমূলের ক্ষেত্রে একই ভাবে নিয়ম বজায় থাকছে তো? এমনকি তিনি এদিন বলেন, নির্বাচন কমিশনের নামে ব্যভিচার চলছে। 

এদিকে, সুনীলবাবুর এই ঘটনায় জেলা তৃনমুলের মুখপাত্র প্রসেনজিত দাস বলেন, কমিশন তো কেন্দ্রের বিজেপি সরকার পরিচালনা করে। উনিই কমিশনের নিয়ম মানতে চাইছেন না। এমপি হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করতে চাইছেন। আসলে উনি বুঝে গেছেন পায়ের তলার মাটি সরে গেছে বিজেপির। প্রসেনজিত জানান, তৃণমূলের প্রার্থীর সাথে দুজনই গেছে। উনার যদি সন্দেহ হয় তাহলে উনি কমিশনে অভিযোগ জানান।

আরো পড়ুন