বর্ধমানে বিজেপির প্রার্থী ঘোষণার আগেই শহরে কুরুচিকর পোষ্টার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: এখনও বিজেপি পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারেনি। কিন্তু তারই আগে বৃহস্পতিবার সকালে বর্ধমান শহরে একাধিক বিজেপি নেতার নামে ফের কুরুচিকর পোষ্টারকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো। বিজেপির আদি নব্যের মধ্যে কোঁদল, নাকি বিজেপিরই কোনো নেতার ইন্ধনে বারবার এই ধরণের কুরুচিকর পোষ্টার দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে শহর জুড়ে। 

বিজ্ঞাপন

বিশেষত, সামনেই নির্বাচন। ইতিমধ্যেই জেলায় তৃণমূল এবং সংযুক্ত মোর্চার বামফ্রন্টের প্রার্থী তালিকা ঘোষিত হয়ে গেছে। তা সত্ত্বেও কমবেশি সকলেরই চোখ এখন গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী তালিকার দিকেই। আর তার আগেই এদিন সকালে বর্ধমান শহরের কোর্ট কম্পাউণ্ড এলাকায় স্বচ্ছ ভাবমূর্তির বিজেপি প্রার্থী চাই – এই পোষ্টারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহর বর্ধমানে।

    ‘বর্ধমান জেলার জনগন’ নাম দিয়ে এই পোষ্টারে বিজেপির বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার বিভিন্ন পদাধিকারী তথা বিধানসভা কেন্দ্রের সম্ভাব্য প্রার্থী হতে পারেন এই রকম নেতা নেত্রীদের ছবি দিয়ে তাদের সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য লেখা হয়েছে। যাতে এদের কেউ প্রার্থী হতে না পারেন সেই আবেদনই জানানো হয়েছে পোষ্টারগুলিতে। এমনকি প্রত্যেকের ব্যক্তিগত চরিত্র নিয়েও এই পোস্টার গুলিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

যদিও বিজেপির অভিযোগ, নির্বাচনে হার নিশ্চিত জেনেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ধরণের কুরুচিকর পন্থার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। তাতে বিজেপির স্বচ্ছ ভাবমূর্তিতে কেনো প্রভাব পড়বে না। যদিও তৃণমূলের পাল্টা দাবী বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলায় বিজেপির আদি ও নব্যের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। তারই ফল এটা। 

যেমন এর আগেও বিজেপির সদর কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় বিজেপির নেতারা তৃণমূলের ওপর দোষ চাপিয়েছিল। কিন্তু ওই ঘটনায় যে বিজেপিরই নেতা কর্মীরা যুক্ত সেটা ওদের দলের নেতাদের শোকজ, সাসপেন্ডের ঘটনায় স্পষ্ট। ওরা মিথ্যাবাদী। এমনকি ভোটের মুখেই জেলা সভাপতির অপসারণ প্রমান করেছে জেলা বিজেপির সাংগঠনিক অবস্থার কি হাল বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস।

আরো পড়ুন