পালশিটে জাতীয় সড়কে লরির ধাক্কায় ৪জনের মৃত্যু, আহত ৮

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,মেমারী: ফের ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের মেমারী থানার পালশিটের কাছে ২নং জাতীয় সড়কে। বেপরোয়া লরির ধাক্কায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছেন প্রায় ৮জন। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকেল ৪টা নাগাদ। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে বর্ধমানের অনাময় সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই চারজনকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। দুর্ঘটনার পরই জাতীয় সড়কের ওপর যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় জেলা পুলিশের বর্ধমান দক্ষিণ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আমিরুল ইসলাম সহ মেমারী থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। ছুটে আসেন স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান সহ ব্লক সভাপতি। 

বিজ্ঞাপন

উত্তেজিত জনতাকে আশ্বস্ত করতে এদিন বেশ বেগ পেতে হয় পুলিশ কে। দফায় দফায় রাস্তা অবরোধের জেরে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় কলকাতা ও দুর্গাপুরের দিকে যাতায়াতের জাতীয় সড়কে। পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেও দফায় দফায় আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অবিলম্বে  পালশিটের কাছে জাতীয় সড়কের ওপর থেকে বাস স্টপেজ তুলে দিতে হবে। পরিবর্তে বাসযাত্রী সহ সাধারণ মানুষের যাতায়াতের জন্য সাবওয়ে তৈরি করে দিতে হবে। পাশপাশি অবিলম্বে ট্রাফিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা আরো কঠোর করতে হবে। রাখতে হবে ট্রাফিক পুলিশ, সিভিক। প্রশাসনের কাছে আশ্বাস পাওয়ার পর প্রায় ঘন্টা খানেক পর স্বাভাবিক হয় যান চলাচল।

দুর্ঘটনার পর প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এদিন বিকেলে বর্ধমানের দিকে যাবার বাস ধরার জন্য রাস্তার ধারে ফুটপাথে অপেক্ষা করছিলেন প্রচুর মানুষ। সেই সময় কলকাতার দিক থেকে বর্ধমানের দিকে দ্রুত গতিতে আসা একটি লরি প্রথমে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মোটরসাইকেলে সজোরে ধাক্কা মারে। এরপরই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লরিটি ফুটপাথে ধারে দাঁড়িয়ে থাকা বাসযাত্রীদের উপর দিয়ে চলে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলেই ছিটকে পড়েন প্রায় ১২ জন পুরুষ,মহিলা যাত্রী। তড়িঘড়ি স্থানীয়রাই আশংকাজনক অবস্থায় পড়ে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করে বর্ধমানের অনাময় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। যদিও হাসপাতালে আসার পর এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। মৃত বা আহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 

আরো পড়ুন