বর্ধমানের রমনাবাগানে আসছে হায়না, খেঁকশিয়াল সহ আরো কুমীর ও ঘড়িয়াল

Souris  Dey

Souris Dey

বিজ্ঞাপন

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমানের রমনা বাগান জুওলজিক্যাল পার্ককে পশুপ্রেমী ভ্রমনার্থীদের কাছে দর্শনীয় করে তুলতে গত কয়েকবছর ধরেই কতৃপক্ষ যেমন একের পর এক নতুন নতুন বন্য প্রাণী নিয়ে এসে আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা করেছে পাশপাশি এই এলাকার সৌন্দর্য্যায়ন ঘটিয়ে তা আরো বৃদ্ধি করেছে। সম্প্রতি এই পার্কে চিতাবাঘ, ঘড়িয়াল, হরিণ, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি প্রভৃতি নিয়ে আসা হয়েছে। এবার ভ্রমনার্থীদের সামনে কতৃপক্ষ হাজির করতে চলেছে হায়না, দেশী শিয়াল সহ কুমির, আরো ঘড়িয়াল।আগামী মাসের মধ্যেই রমনা বাগানে এই সমস্ত পশুদের এনে পার্কের আকর্ষণ আরো বাড়িয়ে তোলা হচ্ছে বলে জানালেন মুখ্য বনাধিকারিক দেবাশীষ শর্মা।

দেবাশীষ শর্মা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই হায়নার খাঁচা তৈরী হয়ে গেছে। খুব শীঘ্রই সেখানে হায়না নিয়ে আসা হবে। একইসঙ্গে আরও একটি ছোট খাঁচা তৈরী করা হচ্ছে। আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই সেখানে দেশীয় খেঁকশিয়াল নিয়ে আসা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, রমনাবাগান জুওলজিক্যাল পার্ককে কার্যতই ঢেলে সাজানোর কাজ চলছে। তিনি জানিয়েছেন এই পার্কের মধ্যে যে নতুন বিশাল জলাশয় তৈরি করা হয়েছে সেখানে ২টি ঘড়িয়াল আনা হয়েছে। আরো তিনটি খুব শীঘ্রই নিয়ে আসা হবে। কিন্তু এই বিরাট জলাশয়ের জন্য আরও কয়েকটি ঘড়িয়াল এবং চেন্নাইয়ের কুমীর পার্ক থেকে আরও ১০-১৫টি কুমীর নিয়ে আসার পরিকল্পনা নিয়েছেন।

 এরই পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, এই পার্কের যাবার রাস্তা বর্ষার জলে ডুবে যাওয়ায় দর্শকদের সমস্যায় পড়তে হয়। পশুদের থাকার জায়গাতেও জল জমে যায়। তাই দর্শকদের চলাফেরার জন্য পরিবেশ বাঁচিয়ে তাঁরা তৈরী করছেন কংক্রিটের রাস্তা। পাশাপাশি যেহেতু রমনাবাগানের পরিসর আরও বৃদ্ধি পেয়েছে তাই পার্কের পিছন দিকে বাবুরবাগ যাবার রাস্তাকে কেবলমাত্র ফুটপাত হিসাবেই তাঁরা ব্যবহার করতে দিচ্ছেন। কারণ গাড়ির আওয়াজ বন্যপ্রাণীদের ক্ষতি করছে। বিশেষত, এনক্লোজারের কাছাকাছি চলে আসছে হরিণ সহ অন্যান্য পশুরা। তাই নিরাপত্তাজনিত কারণেই এখন থেকে কেবলমাত্র এই রাস্তাকে হেঁটে চলাচলের জন্যই খুলে রাখা হবে।

আরো পড়ুন