ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: দাবী মেটায় নি কেউই, তাই এবার বর্ধমানে নির্দল ব্যবসায়ী প্রার্থী দাঁড় করিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের সমঝে দিতে চান নবগঠিত ব্যবসায়ী ঐক্য। উল্লেখ্য, যত বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসছে ততই রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে খোদ বর্ধমান শহর জুড়ে বিজেপি – তৃণমূল নিজেদের ক্ষমতা তুলে ধরতে দুটি মেগা রোড শো-ও সেরে ফেলেছে। শোনা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই বর্ধমানে রোড শো করতে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী, কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক সেলিব্রেটিকে নিয়ে ফের রোড শো-এর আয়োজন হতে চলেছে। আসতে পারেন চলতি জানুয়ারী মাসেই খোদ মমতা বন্দোপাধ্যায়ও। করতে পারেন একটি জনসভাও। আর এই রাজনৈতিক গরম আবহের মাঝেই রীতিমত সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে চমকে দিয়ে হুংকার দিল বর্ধমান জেলা ব্যবসায়ী ঐক্য মঞ্চ।
গত ৭জানুয়ারী বর্ধমান শহরের ছোটবড় ব্যবসায়ীরা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য গড়ে তুলেছেন এই ঐক্য মঞ্চ। সোমবার বর্ধমানের কার্জন গেটের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সংগঠনের কর্তারা হুংকার দিয়েছেন আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাঁদের সুনির্দিষ্ট দশ দফা দাবী না মিটলে এবার তাঁরা তাঁদের রাস্তা নিজেরাই বেছে নেবে। উল্লেখ্য, প্রায় সাড়ে ছবছর আগে বর্ধমান শহরের তিনকোণিয়া বাসস্ট্যাণ্ডকে তুলে দেওয়া হয় শহরের যানজটকে মুক্ত করতে। পরিবর্তে শহরের দুই উপকণ্ঠ নবাবহাট এবং উল্লাসে তৈরী করা হয় দুটি বাসস্ট্যাণ্ড। শহরের মধ্যে সমস্ত ধরণের বাস চলাচল (ক্রিশক্রশ) বন্ধ করে চালু করা হয় টাউন সার্ভিস বাসগুলিকে। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, এই বাস তুলে দেবার ফলে বর্ধমান শহরের ব্যবসাদারদের আর্থিক অবস্থা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে। অনেকে আত্মহত্যাও করতে বাধ্য হয়েছেন।
বিশ্বেশ্বর চৌধুরী জানিয়েছেন, বর্ধমান শহরে ৫০ হাজার ব্যবসায়ী রয়েছেন। সবমিলিয়ে তাঁদের ১০ লক্ষ ভোটার রয়েছেন। তাঁদের দাবী না মিটলে তাঁরা আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকেই নির্দল প্রার্থী দাঁড় করাবেন। অন্য কোনো রাজনৈতিক দলকে তাঁরা সমর্থন করবেন না। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ১০ দিন তাঁরা অপেক্ষা করার পরই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। কার্যত এদিন ব্যবসায়ীদের এই হুংকারের ঘটনায় নতুন করে সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছে সমস্ত রাজনৈতিক দলই। কারণ খোদ ব্যবসায়ীরাই বেঁকে বসায় ভোট পরিচালনার জন্য অর্থের সংস্থানে যে বাড়া ভাতে ছাই পড়তে চলেছে তাও এদিন বুঝতে শুরু করেছেন নেতারা। যদিও এনিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের কেউই মুখ খুলতে চাননি।