ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: বুধবার রাতে বর্ধমান শহরের লক্ষ্মীপুর মাঠ এলাকায় এক তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলেরই এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিনোদ সাউ নামে ওই তৃণমূল কর্মীকে রাতেই বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় বিনোদ সাউ-এর স্ত্রী গীতা সাউ বৃহস্পতিবার বর্ধমান থানায় সুরিন্দার শর্মা ওরফে তেতরা ও তার দুই ছেলে সহ ৭ জনের নামে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে বিনোদ সাউকে মারধরের ঘটনায় বুধবার রাতেই সুরিন্দার শর্মার ছেলে অমিত শর্মাকে বর্ধমান থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
বিজ্ঞাপন
গীতাদেবী অভিযোগে জানিয়েছেন, বুধবার রাত্রি প্রায় ১১টা নাগাদ বিনোদ সাউ যখন তাঁর মোটরবাইক নিয়ে একটি অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন সেই সময় লক্ষ্মীপুর মাঠ এলাকার খাটালের কাছে হনুমান মন্দির এলাকায় তাঁকে অতর্কিতে আক্রমণ করেন অভিযুক্তরা। সংখ্যায় তারা প্রায় ১৫জন ছিল। তাঁদের হাতে তলোয়ার, রিভলবার, লোহার রড, ছুরি প্রভৃতি একাধিক হাতিয়ার ছিল। গীতাদেবী জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা বিনোদকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা বেধড়ক মারার পর বিনোদ সাউ অচৈতন্য হয়ে পড়লে তাকে তাঁর বাড়ির সামনে ফেলে দিয়ে চলে যায় আক্রমণকারীরা। এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
এই ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে লক্ষ্মীপুর মাঠ এলাকায়। যদিও সুরিন্দর শর্মা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তিনি কোনোভাবেই জড়িত নন। কারণ বুধবার রাতে তাঁর ছেলে বিহার থেকে রাত্রি সাড়ে বারোটা নাগাদ ফেরেন। তাকে আনতে তিনি রাত ৯টা থেকে বর্ধমান ষ্টেশনেই ছিলেন। সুরিন্দর শর্মা জানিয়েছেন, লক্ষ্মীপুর মাঠে ১৯৯৮ সালে এবং ২০২০ সালে দুটি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন বিনোদ সাউ। সেই ঘটনায় তাঁরা নিহতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চক্রান্ত করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, বিনোদ সাউকে কে বা কারা মেরেছে এব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। বর্ধমান থানার পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।