---Advertisement---

খবরের জের- বর্ধমানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে আটক ১৫, পুলিশি অভিযান জারি

Souris Dey

Published

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: বর্ধমান শহর জুড়ে নবাবহাট থেকে উল্লাস মোড়, এমনকি শহরের বিভিন্ন পাড়ায়, রাস্তার মোড়ে মোড়ে মাদক দ্রব্য বিক্রি হচ্ছে এবং সেই মাদকের টানে যুব সমাজ প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছে নেশার দ্রব্য কিনতে, নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে সমাজের একটি অংশ – সম্প্রতি এই সম্বন্ধীয় খবর প্রকাশ করেছিল ফোকাস বেঙ্গল। আর এরপরই জেলা পুলিশ সুপারের দপ্তরে মাদক দ্রব্য বিক্রি বন্ধ করা, এবং অসাধু এই কারবারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে স্বারকলিপি জমা দেয় পূর্ব বর্ধমান জেলা যুব কংগ্রেস। নড়েচড়ে বসে জেলা পুলিশ প্রশাসন। 

বিজ্ঞাপন
আর এরপরই টানা দুদিন বর্ধমান শহরে অভিযান চালিয়ে মাদক সেবন ও বিক্রির অভিযোগে শহরের আলিশা মোড় থেকে ১৫জনকে আটক করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে মদ, গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উল্লাস উপনগরীর কাছে একটি নির্মীয়মাণ হোটেলের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় অসামাজিক কাজকর্ম চলছে। রাস্তায় আলোর ব্যবস্থা থাকলেও অজ্ঞাত কারণে সেই আলো বন্ধই থাকে। কতৃপক্ষকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এই এলাকায় দিনের পর দিন এক শ্রেণীর মানুষ অসামাজিক কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। 
এদিকে শহরের অন্যান্য পাড়ার বাসিন্দাদের অনেকেই জানিয়েছেন, এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। প্রশাসন সব জেনেও না জানার ভান করে। আর প্রতিদিন মাদকের কারবারিরা যুব সমাজ কে নেশায় আসক্ত করে লক্ষ লক্ষ টাকা মুনাফা লুটছে। এক্ষেত্রেও এই সব কারবারীদের সঙ্গে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের গোপন সমঝোতা থাকে বলেও অভিযোগ করেছেন বহু অভিভাবক। শহরের শ্যমলাল, মেহেদিবাগান, লক্ষীপুর মাঠ, জোড়া মন্দির, বাদশাহী রোড, গোলাপবাগ মোড়, রমনাবাগান গেট, নবাবহাট, কালনাগেট, উল্লাস মোড়, নিলপুর, সর্বমঙ্গলা পাড়া, গুডশেড রোড, কাঞ্চননগর, রথতলা, সহ গোটা বর্ধমান শহরের যত্রতত্র গোপনে প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে গাঁজা, হেরোইন, চরসের মতো মাদক দ্রব্য। 
নিত্য নতুন কায়দায় চলছে এই নেশার দ্রব্যের বিক্রি। কারবারীদের কাছে যেমন ক্রেতাদের ফোন নম্বর থাকে, তেমনই ক্রেতারাও এই সব মাদক কারবারীদের ফোন নম্বর নিজেদের কাছে রেখে দেয়। ফলে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় এই মাদক দ্রব্য বিক্রি না করলেও বিক্রেতারা ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সঠিক জায়গায় মাল সাপ্লাই করে দেয়। তবে শহরবাসীর একাংশের মতে পুলিশ প্রশাসন চাইলে এই রাকেট কে ধরতেই পারে। কারণ কান টানলে মাথা এমনিতেই চলে আসবে। শুধু সদিচ্ছার প্রয়োজন।
See also  বর্ধমানে একই গ্রামের তিনটি মন্দির থেকে চুরি লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী, তদন্তে পুলিশ
শেয়ার করুন 🤝🏻

Join WhatsApp

Join Now
---Advertisement---