ফোকাস বেঙ্গল ওয়েব ডেক্স: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নামে উৎসর্গকৃত ‘বঙ্গবন্ধু পদক ২২’ এর জন্য বর্ধমান শহরের বাসিন্দা তথা পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম প্রতিভাবান বহুমুখী সংগীত শিল্পী ও সুরকার, গবেষক, কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার মানব বন্দ্যোপাধ্যায়কে মনোনীত করেছে ‘নোয়াখালী প্রতিদিন’ কর্তৃপক্ষ। কবিতা, গান ও ফাইন আর্টস ক্যাটাগরি থেকে তিনি মনোনীত হয়েছেন। দৈনিক নোয়াখালী প্রতিদিনের দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কলকাতার দমদম মিউনিসিপ্যালিটি অডিটরিয়ামে ১৫ মে রবিবার এই সম্মান তুলে দেওয়া হবে মানব মুখোপাধ্যায়ের হাতে।
বিজ্ঞাপন
মানব মুখোপাধ্যায় শহর বর্ধমানের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের পিলখানা লেনের বাসিন্দা। ২৮ অক্টোবর ১৯৭৬ সালে বর্ধমান শহরে জন্মগ্রহণ করেন। মানব বাবু জানিয়েছেন, তাঁর এই সংগীত শিল্পী হয়ে ওঠার পিছনে যাঁর অবদান সব থেকে বেশি তিনি হলেন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী, শিক্ষক ও গবেষক মানস বসু। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত,কাব্য সঙ্গীত, পুরাতনী গান, রবীন্দ্র গান ও জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির গান নিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরেই চর্চা করে আসছেন। ইতিমধ্যেই তিনি বেতার ও দূরদর্শনের একাধিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। একজন বিশিষ্ট শিল্পী হিসেবে আজ পশ্চিমবাংলার তিনি পরিচিত ব্যক্তিত্ব।
‘নোয়াখালী প্রতিদিন’ পত্রিকার পশ্চিমবঙ্গের ব্যুরো প্রধান নিশিথ সিংহ রায় বলেন, ‘মাস দেড়েক আগেই আমরা এমন একজন মানুষকে খুঁজেছিলাম যাঁর ভিতরে গঠন মূলক,বহুমুখী গুন রয়েছে। পাশাপাশি এটাও আমরা ঠিক করেছিলাম কোন প্রতিষ্ঠিত ব্যাক্তিকে এই পুরস্কার দেওয়া হবে না। এরপরে আমাদের কাছে অনেকের নাম আসে। সেখান থেকেই খুঁজে আমরা মানববাবুর নাম পেয়েছি। উনি একাধারে সংগীত শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার ও সুরকারও বটে। সাহিত্যের আঙিনাতে তাঁর অবাধ বিচরণ। সংগীত শিল্পী হিসেবে বর্ধমান তথা পশ্চিমবঙ্গের কলা জগতে তিনি এক পরিচিত নাম। পুরানো দিনের গানে তাঁর বিশেষ দখল রয়েছে। সমস্ত দিক বিচার করেই আমরা ওনাকে মনোনিত করে বাংলাদেশে পাঠাই। সেখান থেকেই মনোনীত মানববাবুকে সম্মান জানানোর জন্য মনোনীত করা হয়।’
বর্ধমান পৌরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার পামেলা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এটা আমাদের কাছে গর্ব। আমাদের ওয়ার্ডের একজন মানুষ বঙ্গবন্ধু সম্মাননা পাচ্ছেন জেনে খুব আনন্দ হচ্ছে। উনি ফিরে এলে আমরাও ওনাকে সংবর্ধিত করব।’ বর্ধমান পুরসভার পুরপ্রধান পরেশচন্দ্র সরকার বলেন, বর্ধমান শহরের একজন শিল্পী প্রতিবেশী দেশের কাছ থেকে সম্মানিত হচ্ছেন জেনে গর্ব অনুভব করছি। আমি দুদিন আগেই শুনেছি খবরটা। উনি সংবর্ধিত হবার পরে পুরসভার পক্ষ থেকে ওনাকে সংবর্ধনা জানাবো। উনি আমাদের শহরের গর্ব।’
নোয়াখালী প্রতিদিনের সম্পাদক মোহম্মদ রফিকুল আনোয়ার বলেন, ‘আমরা ভারত-বাংলাদেশের যে মৈত্রী সেই ধারাকেই বজায় রাখতে চেয়েছি। করোনার জন্য আমরা দু-বছর অনুষ্ঠান করতে পারিনি। এবারে সেটা করতে পেরে ভালো লাগছে। জুলাই মাসে আমাদের এখানে বড় করে অনুষ্ঠান হবে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছি। উনি আমাদের শুভেচ্ছাবার্তাও দিয়েছেন। ১৫ তারিখের অনুষ্ঠানে আসার আমন্ত্রণ করেছি ওনাকেও আমরা। আমরা চাই যাঁরা প্রথা ভেঙে কাজ করছেন সমাজের জন্য, মানুষের জন্য তাঁদের সংবর্ধিত করতে। যাতে তারা আরও প্রেরণা পান।