ভোট এগিয়ে আসতেই এবার মতুয়ারাও ভাতার দাবীতে সোচ্চার হল

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: নির্বাচনের দিন এগিয়ে আসতে না আসতেই এবার ক্রমশই রাজ্য সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর কৌশল নিতে শুরু করল বিভিন্ন সম্প্রদায় ও সংগঠনগুলি। সম্প্রতি রাজ্য সরকার পুরোহিত ভাতা চালু করেছেন। আর এবার মতুয়া দলপতি সাধু গুরু গোঁসাই পুজারীরাও রাজ্য সরকারের কাছে সাম্মানিক ভাতা দাবী করল। শুধু তাইই নয়, আগামী ৭দিনের মধ্যে তাঁদের এই দাবী পূরণ না হলে তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচীর পথেও পা বাড়াবেন বলে হুঁশিয়ারীও দিলেন। 

বিজ্ঞাপন

শনিবার বর্ধমান জেলা পরিষদের অঙ্গীকার হলে অল ইণ্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের ৪টি জেলাকে নিয়ে প্রতিনিধি সম্মেলন করা হয়। সম্মেলনে হাজির ছিলেন দুই বর্ধমান ছাড়াও বীরভূম ও বাঁকুড়া জেলার প্রতিনিধিরাও। সম্মেলনে হাজির ছিলেন রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি স্বপন দেবনাথ, রাজ্য এসসি, এসটি সেলের সভাপতি উজ্জ্বল প্রামাণিক, জেলা যুব কংগ্রেস সভাপতি রাসবিহারী হালদার সহ মতুয়া সংঘের পদাধিকারীরা। এদিন সংগঠনের সম্পাদক স্বপন গোঁসাই মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের হাতে ৮ দফা দাবীর একটি স্মারকলিপি তুলে দেন। ওই স্মারকলিপিতে দাবী করা হয়েছে আগামী ৭ দিনের মধ্যে মতুয়া দলপতি, পুজারী, সাধু, গুরু, গোঁসাইদের মাসিক সাম্মানিক ভাতা দিতে হবে এবং মতুয়া উন্নয়ন পর্ষদ বোর্ড গঠন এবং সেই বোর্ডের চেয়ারম্যান করতে হবে মমতাবালা ঠাকুরকে। 

দাবী জানানো হয়েছে প্রতিটি জেলায় বিভিন্ন প্রান্তে যে সমস্ত মতুয়ারা যাযাবরের মত ঘরবাড়ি পাট্টাবিহীন, রাস্তার পাশে, ডিভিসি ক্যানেল পাড়ে, রেল লাইনের ধারে বসবাস করছেন তাঁদের স্থায়ী গৃহ নির্মাণ সহ পাট্টা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। উল্লেখ্য, এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, ভোট আসলেই মতুয়াদের কথা মনে পড়ে। সারাবছরে তাঁদের কথা মাথায় থাকে না। কারণ গোটা রাজ্যের ভোটারদের মধ্যে মতুয়াদের ভোটের হারই অনেকের জেতা-হারা নির্ণয় করে দিতে পারে। এদিন বক্তারা মতুয়া অধ্যুষিত এলাকায় এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা, স্কুল, পানীয় জল, রাস্তাঘাট তৈরী, জাতিগত শংসাপত্র পেতে হয়রানি বন্ধ করা, শ্রীহরি গুরুচাঁদের মন্দিরগুলিসংস্কার করারও দাবী জানিয়েছেন। 

স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার মতুয়াদের জন্য একাধিক উন্নয়নের কাজ করেছেন। মতুয়া মহাসংঘের আরাধ্য দেবতার জীবনী এখন পাঠ্যপুস্তকে ঠাঁই পেয়েছে। মতুয়া এলাকাগুলিতেও উন্নয়নের কাজ চলছে। তা সত্ত্বেও কিছু দাবী রয়েছে যেগুলি ধাপে ধাপে পূরণের চেষ্টা চলছে। জাতিগত শংসাপত্র পেতে রাজ্য সরকার নিয়মের অনেক সরলীকরণও করেছেন।

আরো পড়ুন