ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: আগামী ৬ ও ৭ নভেম্বর বাংলায় আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। ৬ তারিখ পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপির নবনির্মিত দলীয় অফিসের উদ্বোধন করবেন তিনি। একইসঙ্গে গোটা রাজ্যে আরও১০টি দলীয় অফিসের উদ্বোধন করবেন বর্ধমান থেকে।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার বিজেপির রাজ্য নেতা রাজু ব্যানার্জ্জী বর্ধমানে সাংবাদিক বৈঠকে এই খবর জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ৬ নভেম্বর গোটা দিনভর একাধিক কর্মসূচী থাকছে নাড্ডাজীর। দলীয় পার্টি অফিসের উদ্বোধনের পাশাপাশি তিনি রাঢ়বঙ্গ জোনের ৭টি জেলার কার্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এছাড়াও বর্ধমানের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গেও আলাদাভাবে বৈঠক করবেন। জে পি নাড্ডার সঙ্গে থাকছেন কৈলাশ বিজয়বর্গী, অরবিন্দ মেনন, দিলীপ ঘোষ সহ বিজেপি সাংসদরাও। এরই পাশাপাশি সমস্ত বুথ সভাপতিদের নিয়ে তিনি একটি ভার্চুয়াল রেলিও করবেন।
রাজুবাবু জানিয়েছেন, মূলত আগামী ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই সর্বভারতীয় সভাপতি বিভিন্ন জোনের কার্যকর্তাদের নির্দেশ দেবেন। ৬ নভেম্বরের পর ৭ নভেম্বর তিনি মেদিনীপুরে বৈঠক করবেন। এদিন, রাজু ব্যানার্জ্জী জানিয়েছেন, গোটা রাজ্যে তৃণমূল আর পুলিশ বিজেপি নেতা কর্মীদের খুনের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। কে কতগুলো খুন করে দিদির প্রিয় হবেন তারই প্রতিযোগিতা চলছে। গোটা রাজ্যে পুলিশের দুঃশাসন চলছে। একের পর এক লকআপে খুনে করা হচ্ছে বিজেপি নেতাদের। কোথায় গেলেন বাংলার তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা। মানবাধিকার লঙ্ঘনের এই ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে কেন তারা এখনও রাস্তায় নেই।
তিনি এদিন বলেন,মানুষ খেকো পুলিশ এখন বাংলায়। তিনি জানিয়েছেন, বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে একটা একটা করে এই পুলিশদের বিরুদ্ধে তদন্ত হবেই। তাদের চাকরি থাকবে কিনা সন্দেহ। পুজো উত্তর পর্বে বর্ধমান জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং লাগাতার বোমাবাজির ঘটনা সম্পর্কে এদিন রাজু জানিয়েছেন, গোটা রাজ্যে তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে পিএইচডি করেছে। গোটা রাজ্য বারুদের স্তুপের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। বাংলায় আল কায়েদা ধরা পড়ছে। বাংলাদেশের জেএমবির সঙ্গে যোগ রয়েছে তৃণমূলের।
তিনি জানিয়েছেন আসলে তৃণমূলের মধ্যে এখন চলছে বখরার লড়াই, কাটমানির লড়াই। ৭৫ ভাগ উপরতলায় দেওয়ার পর ২৫ ভাগের দখল নিয়ে লড়াই চলছে। তিনি জানিয়েছেন, বাংলার এই অশান্ত পরিস্থিতির পাশাপাশি মোদি সরকার কি কি করেছে – এই সমস্ত বিষয় নিয়েই জে পি নাড্ডা আলোকপাত করবেন। আর সর্বভারতীয় সভাপতির এই আগমনকে ঘিরে এখন জেলার পাশাপাশি রাজ্য জুড়েই সাজো সাজো রব উঠেছে বিজেপি মহলে।