ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলায়
বিজ্ঞাপন
এই প্রথম সর্বশিক্ষা প্রকল্পের অধীনে স্কুলের ছাত্রীদের জন্য বাণিজ্যিকহারে স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরীর কাজ শুরু হতে চলেছে। আগামী সপ্তাহেই মেমারী-২ এর সাঁওতা গ্রাম পঞ্চায়েতে শুরু হচ্ছে এই স্যানিটারী ন্যাপকিন তৈরীর কাজ।
পূর্ব বর্ধমান জেলা সর্বশিক্ষা প্রকল্প আধিকারিক মৌলি সান্যাল জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহেই শুরু হচ্ছে এই বিষয়ে প্রশিক্ষণের কাজ। প্রথম পর্যায়ে ২৫জন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষক হিসাবে মুম্বাই থেকে ৪জনের একটি প্রতিনিধি দল আসছেন। তাঁরাই এই প্রশিক্ষণ দেবেন। প্রশিক্ষণ শেষে এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা যেমন ন্যাপকিন উৎপাদনের কাজ করবেন, তেমনি তাঁরা অন্যান্য মহিলাদেরও এই প্রশিক্ষণ দেবেন।
তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ৫ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা খরচ করে একটি মেশিন কেনা হয়েছে। গড়ে প্রতিদিন এই মেশিনে ১২০০টি করে ন্যাপকিন উৎপন্ন হতে পারে। প্রথম দফায় তাঁরা আশা করছেন প্রশিক্ষিত মহিলারা গড়ে প্রতিদিন ৫০০টি করে ন্যাপকিন তৈরী করতে পারবে। মৌলিদেবী জানিয়েছেন, উৎপাদিত ন্যাপকিন সমস্ত মেয়েদের স্কুলে বাজার থেকে অনেক সহজ মূল্যে বিক্রি করা হবে। সেক্ষেত্রে ১০টাকার বিনিময়ে ৩ থেকে ৪টি ন্যাপকিন দেওয়া যায় কিনা তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা চলছে।
তিনি জানিয়েছেন, প্রথম দফায় মেমারী থেকে শুরু হলেও দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রতিটি মহকুমায় একটি করে এই মেশিন দেওয়া হবে। তৃতীয় পর্যায়ে প্রতিটি ব্লকে একটি করে এই মেশিন দেওয়া হবে। তিনি জানিয়েছেন, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের এব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেবার পাশাপাশি তাঁরা চাইছেন কন্যাশ্রীর কে-২ প্রাপক মেয়েদেরও এই প্রশিক্ষণে অন্তর্ভূক্ত করতে চাইছেন। যাতে তাঁরা এর মাধ্যমেও রোজগারের পথ দেখতে পান।
এদিকে, শুধু ন্যাপকিন তৈরীই নয় মৌলি সান্যাল জানিয়েছেন, প্রথম দফায় তাঁরা ব্যবহৃত ন্যাপকিনকে বিজ্ঞানসম্মভাবে নষ্ট করার জন্য জেলার ৪০টি হাইস্কুলকে স্যানিটারি ভেণ্ডিং ও ইনসিনেরেটর মেশিন দিচ্ছেন। ধাপে ধাপে তা অন্যান্য হাইস্কুলগুলিকেও দেওয়া হবে।