---Advertisement---

করোনা কে পরাস্ত করতে পল্লিমঙ্গল সমিতি সেরে ফেললো খুঁটি পুজো,এলাকায় খুশির হাওয়া

Souris Dey

Published

বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: অতিমারী করোনা পরিস্থিতির জেরে যখন এবছর বেশিরভাগ ছোট,বড় দুর্গা পুজোর উদ্যোক্তারা পুজো করা নিয়েই দোলাচলে, সেই সময় করোনা আবহের মাঝেই পূর্ব বর্ধমান জেলার পাল্লা পল্লিমঙ্গল সমিতি তাদের ৭৯তম বর্ষের খুঁটি পূজা সেরে ফেলল। উদ্যোক্তাদের পক্ষে জানানো হয়েছে, তাদের এই বারের থিম ‘সাদায় কালোয়, আলোয় ভালোয়’। এমনকি খুঁটি পুজোকে কেন্দ্র করে চমক থাকলেও সদস্যদের উপস্থিতিতে রাশ টেনে রাখায় খুঁটি পূজায় সেই ভাবে দর্শকের উপস্থিতি চোখে পড়েনি। উল্লেখ্য, খুঁটি সাজানো হয়েছিল স্যানেটাইজারের বোতল, মাস্ক ও গ্লাভস দিয়ে। পূজার নৈবেদ্য থেকে ব্রাম্ভ্রণের দক্ষিণাতেও ছিল মাস্ক স্যানেটাইজারের বোতল ও গ্লাভস। 
সমিতির তরফে সন্দীপন সরকার জানান করোনা আবহের মধ্যেও তারা পূজা করতে চান। তারই প্রস্তুতি স্বরুপ আজ খুঁটি পূজা সেরে রাখা হল। তিনি জানান, বাঙালির দুর্গা পূজোর সাথে ঢাকি, শিল্পি, লাইট ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বহু মানুষের রুটিরুজি জড়িয়ে থাকে। তাই পুজো বন্ধ করা মানে স্থানীয় অর্থনীতিতেও আঘাত করা। সব থেকে বড় কথা টানা নিরাশার দিন শেষ করে মা দুর্গার আরাধনাই হয়তো ফের বাঙালির জীবনে আশা, আনন্দের বার্তা বয়ে আনবে।

পুজো কমিটির সভাপতি নিমাই চন্দ্র মূখার্জী জানান, আজ খুঁটি পূজা সব রকম নিয়ম মেনে করা হয়েছে।করোনা আবহে অনেকেই অবসাদে রয়েছেন, তা কাটাতে পুজো হওয়াটা দরকার। খুঁটি পুজোর ব্রাম্ভণ সৌম্যদর্শন বাবু জানান, জীবনে প্রথম বার হাতে গ্লাভস পড়ে সংকল্প করলাম,অন্যরকম অভিজ্ঞতা হল। বাজেটে সামান্য রাশ টেনে পুজোর সাথে সাথে স্থানীয় মানুষদের পুজোর সময় জামাকাপড় বা খাদ্যসামগ্রীর বিলির ভাবনা রয়েছে বলে জানান পুজো আহ্বায়ক সুজয় ঘোষ।
See also  প্রাচীন ঐতিহাসিক শহর বর্ধমান আজও রাজ্য কিংবা দেশের পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করতে পারল না, আক্ষেপ সব মহলে
শেয়ার করুন 🤝🏻

Join WhatsApp

Join Now
---Advertisement---