---Advertisement---

বর্ধমানে বাজার খোলা ও বন্ধের সময় সংক্রান্ত জেলা পুলিশের প্রস্তাব গেল জেলাশাসকের কাছে

Souris Dey

Published

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: বর্ধমান শহরে গোষ্ঠী সংক্রমণ রোধে এবার পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আংশিক সুরক্ষা নিষেধাজ্ঞা জারি করার বিষয়ে ১১দফা প্রস্তাব জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হলো। আর এই সমস্ত প্রস্তাবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে শহরের সমস্ত ক্লাব কে আপাতত বন্ধ রাখার জন্য উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন বাজার এলাকা খোলা ও বন্ধের বিষয়ে সম্ভাব্য সময়সীমা সম্পর্কেও জেলাশাসকের অনুমোদন চেয়ে বেশ কিছু প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে রবিবার। 
প্রসঙ্গত, জেলা পুলিশের এই ১১দফা প্রস্তাব সম্বলিত চিঠিতে জেলাশাসক কে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি বর্ধমান পৌর এলাকায় করোনা সংক্রমণ অতি মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে বিভিন্ন বাজার, দোকান এলাকায় সাধারণ মানুষের যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ আরোপ করা জরুরি। আর এই কারণেই বর্ধমান থানার আইসি-র তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে আলোচনার পর এবং খোদ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে এই সংক্রান্ত একটা রিপোর্ট জেলা পুলিশ সুপারের কাছে পাঠিয়েছেন আইসি পিন্টু সাহা। আর এরপরই জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তাব জেলা শাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে। যদিও রবিবার পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের তরফে এব্যাপারে কোনো বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি।

বিজ্ঞাপন
এদিকে শনিবার জেলা প্রশাসনের তরফে শহরের দোকান, বাজার খোলা ও বন্ধের সময়সীমা সম্বন্ধীয় কোনো বিজ্ঞপ্তি জারি না করা সত্ত্বেও পূর্ব বর্ধমান চেম্বার অফ ট্রেডার্সের পক্ষ থেকে একটি এই সম্বন্ধীয় পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ায় ব্যবসায়ী মহলে চরম বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। এই পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছিল বাজারের খোলা ও বন্ধের নতুন সময়সীমা রবিবার থেকে শুরু হবে। আর এই বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নাকি জানানোও হয়েছে বলে এই সংগঠন দাবিও করেছিল। কিন্তু জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই তথ্যের কোনো ভিত্তি নেই বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়। যদিও রবিবার জেলা পুলিশ সুপারের বাজার বন্ধের যে প্রস্তাব জেলাশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে তাতে পূর্ব বর্ধমান চেম্বার অফ ট্রেডার্সের জারি করা আগাম সময়সীমার তথ্যের অনেকটাই প্রায় এক। বরং জেলা পুলিশ প্রশাসনের তৈরি করা নতুন বাজার খোলা ও বন্ধ সংক্রান্ত প্রস্তাবে অন্যান্য আরোও কয়েকটি বাজারের খোলা রাখা ও বন্ধ করার বিষয়েও প্রস্তাব আনা হয়েছে। 
যে ১১দফা প্রস্তাব জেলাশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে সেগুলি হল, পাইকারি সবজি ও মাছ বাজার খোলা থাকবে ভোর ৪টে থেকে সকল৭টা পর্যন্ত। খুচরো সবজি ও মাছ বাজার খোলা থাকবে সকাল ৭টা থেকে ১০.৩০টা পর্যন্ত। ফলের বাজারও খোলা থাকবে সকাল ৭টা থেকে ১১টা পর্যন্ত। মিষ্টি ও মাংসের দোকান খোলা রাখা যাবে সকাল ১১টা থেকে ৫টা পর্যন্ত। চায়ের স্টল খোলা রাখা যাবে ভোর ৪টা থেকে সকল ১০টা পর্যন্ত। অন্যান্য দোকান ও হকার্স তাঁদের দোকান খুলে রাখতে পারবে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। মুদিখানাও খোলা থাকবে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। অন্যদিকে হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট দুপুর ১২টা থেকে রাত্রি ৯পর্যন্ত খোলা থাকবে। নতুনগঞ্জ পাইকারি বাজারে বিক্রি এবং লোডিং সংক্রান্ত কাজ সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত করা যাবে। পাশাপাশি অনলোডিং এর কাজ করা যাবে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত্রি ১০টা পর্যন্ত। এছাড়াও প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে শহরের সমস্ত ক্লাব আপাতত বন্ধ রাখতে হবে।
অন্যদিকে, জেলা ব্যবসায়ী সুরক্ষা সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বেশর চৌধুরী এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণের হার কমাতে ইতিমধ্যে জেলাশাসকের সঙ্গে তাদের আলোচনা হয়েছে। তাঁরা এবং অন্যান্য ব্যবসায়ী সংগঠন সেই আলোচনায় প্রস্তাব দিয়েছিলেন লকডাউন না করে বাজার খোলা ও বন্ধের সময়সীমা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। আর তারপরই এই বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। তিনি জানিয়েছেন, এই সংক্রান্ত বিষয়ে বর্ধমান থানার আইসি পিন্টু সাহার সঙ্গেও দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে। সুতরাং যতক্ষণ না প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে তার আগে কোনোভাবেই কিছু বলা বা জানানো কারুর উচিত নয়। সবাই অপেক্ষা করছে প্রশাসনের সিদ্ধান্তের উপর। 
See also  অবশেষে পূর্ব বর্ধমানে মিলল করোনা পজিটিভ, সিল করে দেওয়া হল গোটা গ্রাম
শেয়ার করুন 🤝🏻

Join WhatsApp

Join Now
---Advertisement---