বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলার করোনা পরিস্থিতির দৈনন্দিন সরকারি প্রকাশিত রিপোর্টে কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা নিয়ে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ার পর শুত্রুবার তড়িঘড়ি সেই তথ্য ঠিক করার বিষয়ে উদ্যোগ নিলো জেলা প্রশাসন। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের করোনা সংক্রান্ত রিপোর্টে দেখা গিয়েছিল জেলার কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা নেমে এসেছে মাত্র ১৩টিতে। কিন্তু গতকাল পর্যন্তই জেলায় সক্রিয় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছিল মোট ৩৩৯জন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যার বিচারে মোট কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যার কোথাও গরমিল হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টির তথ্যগত ভুল তুলে ধরে গতকালই সংবাদ প্রকাশ করেছিল ফোকাস বেঙ্গল। আর তারপরই প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই তথ্য সঠিক প্রকাশের ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, শুত্রুবার সন্ধ্যায় জেলার কন্টেইনমেন্ট জোনের যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার খেলায় মোট কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ছিল ৫২টি। শুত্রুবার নতুন করে জেলায় কন্টেইনমেন্ট জোন তৈরি হয়েছে ১০৪টি। অর্থাৎ শুত্রুবার পর্যন্ত জেলায় মোট কন্টেইনমেন্ট জোন রয়েছে ১৫৬টি। ইতিমধ্যে জেলায় আজ পর্যন্ত কন্টেইনমেন্ট জোন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে ৪৬৭টি।
এদিকে শুত্রুবার ফের নতুন করে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮জন। তার মধ্যে শুধু বর্ধমান পৌর এলাকায় ফের এদিন আক্রান্ত হয়েছেন ২৩জন। এছাড়াও বাকি ৩৫জন আক্রান্ত ব্যক্তিরা জেলার বিভিন্ন ব্লক ও পৌর এলাকার। এদিন পর্যন্ত জেলায় করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৮৪জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন মোট ৯২৯জন। এদিকে শুত্রুবার ফের প্রশাসনের করোনা সংক্রান্ত রিপোর্টে সক্রিয় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ভুল প্রকাশ করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
কারণ, বৃহস্পতিবার জেলায় সক্রিয় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা জানানো হয়েছিল ৩৩৯জন। আর শুত্রুবার ফের প্রকাশিত রিপোর্টে সেই একই সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে সক্রিয় আক্রান্তের তথ্যে। আর বারবার জেলা প্রশাসনের করোনা সংক্রান্ত দৈনন্দিন রিপোর্টে তথ্যের ভুল প্রকাশ নিয়ে খোদ প্রশাসনের অন্দরেই বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি প্রশাসনের রিপোর্ট অনুযায়ী জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সুস্থতার হার ৭২.৩৫শতাংশ। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সুস্থতার এই হার বাস্তবিকই আশাব্যঞ্জক।
অন্যদিকে, গতকাল নতুন করে কোনো করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু না ঘটলেও, শুত্রুবার নতুন করে দুজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সুতরাং মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯জন। যদিও জেলার কোভিড রোগীর মৃত্যুর সংখ্যার শতাংশের বিচারে এই হার মাত্র ২.২৬শতাংশ বলে জানানো হয়েছে।