বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধিতে কোন ভাবেই লাগাম টানা যাচ্ছে না। প্রায় প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। রবিবার পর্যন্ত জেলায় যেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০০৩জন, সোমবার সেই সংখ্যাই পৌঁছলো ১০৮০তে। অর্থাৎ সোমবার জেলায় করোনা আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা ৭৭জন। এদের মধ্যে কেবলমাত্র বর্ধমান পৌর এলাকাতেই পজিটিভ কেসের সংখ্যা ৪৯। যেটা জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
আর এরই মধ্যে সোমবার সকাল থেকেই শহর জুড়ে গুজব রটতে শুরু করে যে আগামী বুধবার অর্থাৎ ৫আগস্ট রাজ্য জুড়ে যে সম্পুর্ন লকডাউন আছে সেইদিন থেকে ফের সাতদিনের জন্য বর্ধমান শহরেও লকডাউন হতে চলেছে। যদিও পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সোমবার রাত পর্যন্ত এই ধরণের কোন বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি। অতিরিক্ত জেলাশাসক রজত নন্দা জানিয়েছেন, শহরে লকডাউন বৃদ্ধির বিষয়ে নতুন করে কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি।
উল্লেখ্য, লকডাউন নিয়ে কার্যতই চূড়ান্ত বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েছেন শহরের সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী মহল। শহরবাসীর একাংশ রীতিমত লকডাউনের বিপক্ষেই মত প্রকাশ করছেন। আবার কিছু মানুষ লকডাউনের পক্ষে সায় দিলেও তাঁরা চাইছেন সমস্ত কিছু টানা এমন ভাবে বন্ধ হোক যাতে ঘরের বাইরে খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বেরোতেই না পারেন। তানাহলে ‘নাম কা ওয়াস্তে’ লকডাউন করে কোনো ফল আসবে না। শহরবাসী সেক্ষেত্রে সম্প্রতি টানা সাত দিন লকডাউনের উদাহরণও টানছেন। কারণ করোনা সংক্রমণ রোধে কড়া লকডাউন পালিত হওয়ার পরও সংক্রমণের হার কোনো অংশে কমেনি, বরং বৃদ্ধি পেয়েছে শহরে। আর তাই এরপর যদি ফের লকডাউন ঘোষণা করা হয়, সেক্ষেত্রে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির আশংকা তৈরি হতে পারে বলেও শহরবাসী আতঙ্কিত।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এদিন জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭৭জন। এদের মধ্যে বর্ধমান-১ব্লকের ৩জন, বর্ধমান-২ব্লকের ১জন, ভাতারের ১জন, জামালপুরে ১জন, কালনা-১ব্লকে ৯জন, কালনা-২ব্লকে ৩জন, গলসি-১ব্লকে ১জন, গলসি-২ব্লকে ১জন, খণ্ডঘোষে ১জন, কাটোয়া পৌর এলাকায় ৫জন, রায়না-১ব্লকে ১জন এবং মন্তেশ্বরে ১জন করে মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিন আরও একজন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে জেলায়। এই নিয়ে মোট জেলায় ২৩জন করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হল।জেলাপ্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, সোমবার পর্যন্ত জেলায় সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫৫জন। এদিন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ৭০২জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলায় কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা সোমবার পর্যন্ত আছে মোট ৬৫টি।