বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমান শহরের প্রকাশ্য দিনের বেলায় জনবহুল বিসিরোডে একটি স্বর্ণ ঋণ প্রদানকারী সংস্থায় আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে লুঠ করার ঘটনার প্রায় ১১দিনের মাথায় পুলিশ গ্রেপ্তার করল এক দুষ্কৃতিকে। ধৃতের নাম বিপ্লব রায় ওরফে বাপ্পা। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণার নিউটাউনের প্রমোদগড় এলাকায়। সোমবার তাঁকে উত্তর ২৪ পরগণার ইকো পার্কের কাছে আকাংখা মোড় থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই ভরদুপুরে জনবহুল বর্ধমান শহরের বিসিরোড এলাকায় প্রায় জনা পাঁচেক দুষ্কৃতির দল হানা দেয় ওই সংস্থায়। সংস্থার কর্মীদের আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে চুপ করিয়ে প্রায় ৩০ কেজিরও বেশি সোনার গহনা লুঠ করে পালায়। যার আর্থিক মূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা। পালাবার সময় এক টোটো চালক এবং ওই সংস্থার প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষী সামনে এসে পড়ায় তাঁকে গুলি করে দুষ্কৃতিরা। এমনকি প্রকাশ্য রাস্তাতেও তারা গুলি চালায়। গুরুতর আহত হন ওই টোটো চালক।
এদিকে, জনবহুল শহরের বিসিরোডে এইরকম ডাকাতির ঘটনায় রীতিমত নড়েচড়ে বসে পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত। ওই সংস্থার লুঠ হওয়া সোনায় জিআই ট্যাগ থাকায় দুষ্কৃতিরা দক্ষিণ দামোদরের খণ্ডঘোষের বাদুলিয়ায় একটি রাস্তার পাশে জলাশয়ে সেই ট্যাগগুলি খুলে ফেলে দিয়ে যায়। ঘটনার অব্যবহিত পরেই পুলিশ তদন্তে নেমে জিআই লোকেশন অনুসারে বাদুলিয়ার সেই পুকুরেও তল্লাশি চালায়। কিন্তু কিছুই মেলেনি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দুষ্কৃতিরা খণ্ডঘোষের রাস্তা তথা আরামবাগ রোড ধরে পালিয়ে যায়।
এদিকে, এই ঘটনার তদন্ত শুরু করতে বর্ধমান জেলা পুলিশ দুটি পৃথক টিম গঠন করে। বিভিন্ন সূত্র মারফত একটি টিম যায় কলকাতার উদ্দেশ্যে। অন্য টিমটি যায় বিহারে। কলকাতার টিমটিই সোমবার বিপ্লবকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের দাবী, ধৃত বাপ্পা নিজের অপরাধ শিকার করেছে। এদিকে, বিহারে যে টিমটি গেছে এখনও তারা ফেরেনি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অপরাধীরা প্রত্যেকেই বিহারের বাসিন্দা। তবে তাদের সঙ্গে স্থানীয়দের কোনো যোগ আছে কিনা তা অপরাধীদের ধরা পড়ার পরই জানা যাবে। মঙ্গলবার ধৃত বিপ্লব রায়কে ওরফে বাপ্পাকে বর্ধমান আদালতে তুলে ৭দিনের পুলিশী হেফাজতের আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুষ্কৃতীদের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলবে বলে আশাবাদী তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা।