বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: দিন দিন বাড়তে থাকা করোনা আতঙ্কের মাঝেই এবার খোদ বর্ধমান শহরবাসী নতুন আতংকে ভুগতে শুরু করেছেন। কোনো কাঁচা বাড়ি বা জঙ্গল এলাকা নয়, একদম পাকা বাড়ির ভিতরেই পাওয়া যাচ্ছে খরিশ গোখরো সাপ। দুদিন আগেই যেখান থেকে বনদপ্তরের কর্মীরা প্রায় সাড়ে তিন ফুট লম্বা পূর্ণ বয়স্ক একটা সাপ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছিলেন, মঙ্গলবার সেই একই বাড়ির দোতলা ওঠার সিঁড়ির নিচ থেকে উদ্ধার করলেন সদ্য ডিম ফুটে বের হওয়া একটি বাচ্ছা।
বনদপ্তরের উদ্ধারকারী দলের এক সদস্য জানিয়েছেন, সাধারণত গোখরো একসঙ্গে প্রায় ২৫-৩০টি ডিম পারে। স্বাভাবিকভাবেই এদিন একটি বাচ্ছা গোখরো উদ্ধারের পর তাঁদের অনুমান এই বাড়ির আনাচে কানাচেই আরও কিছু বিষধর থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আর তাই এদিন সাপ উদ্ধারে এসে শহরের দীঘিরপুল, পাশিখানা এলাকার রাজকুমার চৌধুরীর বাড়ির সকল সদস্য সহ ঘনবসতি এই এলাকার প্রতিবেশীদের রীতিমত সাবধান, সতর্ক করে দিয়ে গেছেন।
এদিকে বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিগত চার পাঁচ মাস ধরে লাগাতার খোদ বর্ধমান পৌর এলাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিমাসে গড়ে ১৫ থেকে ২০টি করে বিষধর সাপ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী কর্মীরা। যদিও শহরাঞ্চলে এত বিষধর সাপের প্রাদুর্ভাব কেন হচ্ছে – তা নিয়ে খোদ বনদপ্তরের অধিকারিকরাও চিন্তিত। বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া সাপের মধ্যে বেশিরভাগই চন্দ্রবোড়া। তবে বিক্ষিপ্ত ভাবে গোখরো সাপও উদ্ধার হচ্ছে। এদিকে শহরে মাঝে মধ্যেই বিষধর সাপ উদ্ধারের ঘটনায় কার্যতঃ উদ্রেক বেড়েছে শহরবাসীর।