রায়নায় গৃহবধূকে মারধর করে, গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে খুনের অভিযোগ, গ্রেপ্তার স্বামী

Souris  Dey

Souris Dey

বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,রায়না: এক গৃহবধূ কে প্রচন্ড মারধর করে পরে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে খুন করার অভিযোগে সোমবার গৃহবধূর স্বামী সেখ মোজাম্মেল কে গ্রেপ্তার করলো রায়না থানার পুলিশ। মৃত গৃহবধূর নাম নুরজাহান বেগম(৩০)। বাপের বাড়ি বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস থানার রোল গ্রামে। 
ধৃত সেখ মোজাম্মেল হক (মধু) এর বাড়ী পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না থানার জোৎসাদি গ্রামের কয়রাপুরে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পাশাপাশি ধৃতকে এদিনই বর্ধমান আদালতে পেশ করেছে পুলিশ। 
মৃত নুরজাহান বেগমের জামাইবাবু সেখ লালন জানিয়েছেন, পাঁচ বছর আগে রায়নার জোৎসাদি গ্রামের সেখ মোজাম্মেলের সঙ্গে তাঁর শালির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই প্রায়ই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়াঝাটি করতো মোজাম্মেল। পরিবারের লোকেদের সেইসব জানিয়েছিল নুরজাহান। তিনি জানিয়েছেন, এর আগেও মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে রায়না থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছিল। কিন্তু নূরজাহানের ওপর অত্যাচার বন্ধ করেনি তাঁর শশুরবাড়ির লোকজন এবং স্বামী মোজাম্মেল।

লালন জানিয়েছেন, গতকাল গভীর রাতে ইন্দাসের বাড়িতে ফোন করে খবর দেওয়া হয়। এরপর সোমবার সকালে জোৎসাদি পৌঁছে নূরজাহানের মৃতদেহ পরে থাকতে দেখতে পাওয়া যায়। তিনি অভিযোগ করেছেন, বিভৎসভাবে মারা হয়েছে নুরজাহানকে। গোটা শরীরে লাঠি দিয়ে পেটানোর চিহ্ন ছিল। গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি গলায় ছুরি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছেন সেখ লালন।

তিনি অভিযোগ করেছেন, এই ঘটনায় নূরজাহানের শশুর, শাশুড়ি,দেওর, জা, বড় ভাসুর এবং স্বামী মোজাম্মেল যুক্ত ছিল। সেখ লালন অভিযুক্তের চরম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এদিকে এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রায়না থানার পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

আরো পড়ুন