বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,খণ্ডঘোষ: দীর্ঘদিন ধরে বালির গাড়ি যাতায়াতের ফলে পূর্ব বর্ধমান জেলার খন্ডঘোষ থানার শশঙ্গা অঞ্চলের বেশকয়েকটি রাস্তার অবস্থা বেহাল। এই নিয়ে এলাকার মানুষের ক্ষোভ ছিলই। বর্ষার সময় সেগুলোর অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। শশঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফ থেকে লকডাউনের আগে কাঁটাপুকুর থেকে মাসিলা, সালুন স্টোর মোড় থেকে সালুন, সালুন সিনেমা হল থেকে তিলডাঙ্গা পর্যন্ত লিংক রোডগুলি সারাইয়ের জন্য ১৮লক্ষ ৭০ হাজার টাকার একটি ফান্ড তৈরি করা হয়েছিল। মূলতঃ শশঙ্গা অঞ্চলের বালিঘাট ব্যবসায়ী এবং ইটভাটা গুলির মালিকরা এই অর্থ পঞ্চায়েত কে জমা করেছিল।
উল্লেখ্য, এর আগেও প্রতি বছর বর্ষার আগে এই ভাবে ব্যবসাদারদের কাছে টাকা নিয়ে রাস্তা মেরামতের কাজ করা হতো। কিন্তু গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এবছর রাস্তাগুলির যে বেহাল অবস্থা তা মেরামতের উপযুক্ত নয়। বরং নতুন করে তৈরি করলেই সমস্যার সমাধান হতে পারে। যেহেতু পুরোনো রাস্তা এখনই মেরামত করা হচ্ছে না, তাই বৃহস্পতিবার শশঙ্গা অঞ্চলের ব্যবসাদারদের নিয়ে এক বৈঠক করে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে প্রত্যেক ব্যবসাদারদের কে তাঁদের টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হলো।
এদিকে পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে জেলা পরিষদের মিটিংয়ে রাস্তা তৈরির বিষয়টি উত্থাপিত করা হয়েছে। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে রাস্তা নিয়ে পদক্ষেপ করা হবে বলেও জেলা পরিষদে আলোচনা হয়েছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা জানিয়েছেন, গত কয়েকমাস আগেই জেলার বেশ কিছু রাস্তা মেরামতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু লকডাউনের মধ্যে সেইসব রাস্তার কাজ করা সম্ভব হয়নি। তবে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় কাজ শুরু হয়েছে। শম্পা ধারা জানিয়েছেন, শশঙ্গা অঞ্চলের কয়েকটি খারাপ রাস্তার ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে, খুব শীঘ্রই রাস্তা ঠিক করার ব্যাপারে পঞ্চায়েতের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে শশঙ্গা অঞ্চলে দ্রুত রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু না হলে ১৭জন পঞ্চায়েত সদস্য ও ৩জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সহ খোদ শশঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির বনভূমির কর্মাধ্যক্ষ শ্যামল পাঁজা পদত্যাগ করার হুমকি দিয়েছেন। যদিও এই বিষয়ে সভাধিপতি শম্পা ধারা জানিয়েছেন, জনপ্রতিনিধিদের কাজ মানুষের সমস্যার সমাধান কিভাবে হবে তা দেখা। আর সকলের সেটাই করা উচিত।