বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: বর্ধমান শহরে প্রথম স্যানিটাইজেশন টানেল বসলো একটি বেসরকারি হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার বিকালে এই মুহূর্তে অতি কার্যকরী এই জীবাণুনাশক শুদ্ধিকরণ মেশিনের শুভ সূচনা করলেন বর্ধমান পৌরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার অমিত গুহ। অমিত বাবু জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে এই মুহূর্তে প্রত্যেক কে বিশেষ ভাবে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। আর তার জন্য প্রাথমিকভাবে কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে।
তার মধ্যে প্রথমেই যেটা প্রয়োজন সেটা হলো সামাজিক দূরত্ব মেনে প্রত্যেকের চলা। ভিড় এড়িয়ে চলাই বাঞ্চনীয়। দ্বিতীয়ত, হাত বারবার পরিষ্কার করতে হবে। সেক্ষেত্রে সাবান বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করা উচিত। তৃতীয়তঃ, মুখে মাস্ক কিম্বা মোটা কাপড় জড়িয়ে রাস্তায় বেরোনো উচিত। তিনি জানিয়েছেন, এই পরিষেবা যাতে পৌর এলাকার আরও অন্যান্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রও শুরু করতে সচেষ্ট হয় সেই ব্যাপারে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা চালাবেন।
অমিত বাবু জানিয়েছেন, বর্ধমান শহরের বাদশাহী রোড লাগোয়া এই বেসরকারি হাসপাতালের কর্ণধার সেখ আলহাজুদ্দিন তাঁর হাসপাতালে কর্মরত কর্মী, ডাক্তার, নার্স সহ রোগীর পরিবার ও রোগীদের সুরক্ষার কথা ভেবে যে অটোমেটিক স্যানিটাইজেশন গেট বসিয়েছেন সেটা প্রশংসনীয়। তিনি জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপ সময়োপযোগী। এর ফলে বাইরে থেকে যারাই এই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসবেন বা রোগীর সঙ্গে দেখা করতে আসবেন গেটেই তাঁরা স্যানিটাইজ হয়ে যাবেন। ফলে হাসপাতালের ভিতরে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমবে।
আলহাজুদ্দিন সাহেব জানিয়েছেন, লকডাউনের নিয়মবিধি মেনে এতদিন চিকিৎসা পরিষেবা চালিয়ে যাওয়া হলেও, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে হাসপাতালের সকলকে সুরক্ষিত রাখতেই এই স্যানিটাইজেশন টানেল বসানো হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ২০০লিটার ক্যামিকেল মিশ্রনের এই টানেলের মধ্যে দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ২০০ জন যাতায়াত করতে পারবেন। এর জন্য প্রতিদিন আড়াইশো থেকে তিনশো টাকা খরচ হবে। আলহাজুদ্দিন সাহেব জানিয়েছেন, সরকারি সমস্ত নির্দেশিকা মেনেই এই লকডাউনের মধ্যে রোগী পরিষেবা অব্যাহত রাখা হয়েছিল। এবার এই স্যানিটাইজেশন মেশিন বসানোর মধ্যে দিয়ে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা হলো।