বর্ধমান শহরে আগামীকাল অর্থাৎ শুত্রুবার থেকে খুলে দেওয়া হলো সমস্ত ব্যবসা

Souris  Dey

Souris Dey

বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: ২২মে অর্থাৎ  আগামীকাল শুত্রুবার থেকে বর্ধমান শহরের হকার্স মার্কেট এবং শপিং মল বাদ দিয়ে সমস্ত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। যদিও লকডাউনের যাবতীয় বিধিনিষেধ গ্রাহক এবং দোকানের ক্ষেত্রে বলবৎ থাকছে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমান জেলা ব্যবসায়ী সুরক্ষা সমিতির সঙ্গে বর্ধমান থানার আধিকারিকদের বৈঠকের পর সমিতির উন্নয়ন সম্পাদক  বিশ্বেশর চৌধুরী জানিয়েছেন, আগামীকাল অর্থাৎ শুত্রুবার থেকে বর্ধমান শহরের দোকানপাট প্রশাসনিক বিধিনিষেধ মেনে খোলা যাবে বলে প্রশাসন তাদের জানিয়ে দিয়েছে। আর এরপরই তাঁরা শহরের ব্যবসায়ীদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন।

যদিও পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, দোকান খোলার ব্যাপারে লকডাউন এর যাবতীয় শর্ত মেনে চলার কথা জানানো হয়েছে। শহরের হকার্স মার্কেট, শপিং মল, মার্কেট কমপ্লেক্স, সিনেমা হল খোলা যাবে না বলে জানানো হয়েছে। রেস্টুরেন্টের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে সেগুলো খোলা গেলেও বসে কোনো গ্রাহক কে খাওয়ানো যাবে না। পরিবর্তে পার্সেল সার্ভিস দেওয়া যাবে। পাশাপাশি, শহরের বার কাম রেস্টুরেন্ট গুলো এখন বন্ধ থাকবে। বিসি রোডে দু চাকা, চার চাকা গাড়ি দাঁড় করানো যাবে না। নির্দিষ্ট পার্কিং এলাকায় গাড়ি রেখে বাজার করতে আসতে হবে মানুষকে। সামাজিক দূরত্ব সঠিক ভাবে মেনে চলতে হবে। এদিন পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, একজন গ্রাহকের থেকে আরেজনের দূরত্ব কমপক্ষে ৬ফুট থাকতে যবে।  দোকানের কর্মচারী এবং মালিক কে হাতে গ্লাভস পরে ব্যবসা করতে হবে। পাশাপাশি স্যানিটাইজেশনের সুবন্দোবস্ত রাখতে হবে সকলের জন্য। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখা যাবে।

বিশ্বেশ্বর চৌধুরী জানিয়েছেন, আগে ১:৩ অর্থাৎ তিনটে দোকান পাশাপাশি থাকলে যেকোন একটি দোকান যেদিন খুলবে তারপর দুদিন সেই দোকান আর খোলা যাবে না। শুত্রুবার থেকে এই নিয়ম পাল্টে সেটা ১:২ করা হয়েছে। সেলুন এবং পার্লারের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার কথা জানিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। এদিকে দীর্ঘ প্রায় দুমাস বন্ধ থাকার পর ফের শহরের প্রাণকেন্দ্র বিসি রোড সচল হওয়ার খবরে ব্যবসায়ীদের মধ্যে যেমন  খুশির হাওয়া, তেমনি শহরবাসীর একাংশ এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। মানুষ এখনো ঘরে বসে আছে। আর এরই মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য খুলে দিলে যেভাবে করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাতে নতুন করে আশংকাই দেখা দিতে শুরু করেছে।

আরো পড়ুন