বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: আজ লকডাউনের ১৮ দিন। স্বাভাবিকভাবেই খেটে খাওয়া মানুষদের রুজি রোজগার বন্ধ থাকায় সমস্যা তীব্রতর হতে শুরু করছে।আর দিন আনে দিন খায় এই মানুষ গুলোর কথা চিন্তা করে প্রতিদিন সরকারি ও বেসরকারি বহু সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান তাঁদের দু’বেলা অন্নসংস্থানের জন্য অকাতরে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। চাল,ডাল, আলু,পিঁয়াজ,তেল,সাবান ইত্যাদি খাদ্য সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি রান্না করা খাবারও বিবরণ করছে এই সমস্ত সংস্থা।
শনিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না থানার মাছখাণ্ডা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্থানীয় প্রায় চারশো দুঃস্থ পরিবারের হাতে কিছুদিনের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্যসামগ্রীর পাশাপাশি একদিনের জন্য দুবেলা রান্না করা খাবার তুলে দেওয়া হলো। এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র তথা বর্তমানে বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেকের উদ্যোগে এবং পূর্ব বর্ধমান রাইস মিল এসোসিয়েশনের সহযোগিতায় এই সাহায্য প্রদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন রায়না বিধাসভার বিধায়ক নেপাল ঘরুই, স্কুলের প্রধান শিক্ষক, অন্যান্য শিক্ষক সহ রাইস মিল এসোসিয়েশনের কর্তা ব্যক্তিরা।
মালেক বাবু জানিয়েছেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তাঁরা প্রতিদিন এক হাজার দুঃস্থ, অসহায় মানুষকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছেন। পাশাপাশি চাল,ডাল, তেল,আলু, সাবান প্রভৃতি বিতরণ করারও ব্যবস্থা করেছেন। তিনি জানান, শুত্রুবার রায়নার শালগাছা গ্রামে আশপাশের প্রায় আট টি গ্রামের প্রায় চারশো মানুষকে এই সমস্ত খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন আজিজ আমন, নজরুল ইসলাম সহ গ্রামের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। আর এদিন মাছখাণ্ডা গ্রামের প্রায় ৪০০ মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হলো খাদ্যসামগ্রী ও রান্না করা খাবার। তিনি জানান, লকডাউন না ওঠা পর্যন্ত নির্দিষ্ট সময় অন্তর এই প্রক্রিয়া চালু থাকবে।
বিধায়ক নেপাল ঘরুই জানিয়েছেন, রায়না বিধানসভার এক ও দুই ব্লকে প্রতিদিন দুঃস্থ ও গরিব খেটে খাওয়া মানুষদের দুবেলা খাওয়ার ব্যবস্থা সহ খাদ্যসামগ্রী বিতরণের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও গরিব মানুষদের জন্য বেলসর মোড়ে বিধায়কের কার্যালয় থেকেও খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি জানান, লকডাউন পরিস্থিতিতে মানুষ কোনো কাজ করতে পারছেন না। কিন্তু তার জন্য দুবেলা অন্ন সংস্থানের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সেব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখা হয়েছে।